কাঁচা কাঁঠাল রপ্তানি করতে চান মতিয়া

প্রকাশ | ১৬ জুন ২০১৭, ১৭:০০ | আপডেট: ১৬ জুন ২০১৭, ১৭:০৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

জাতীয় ফল কাঁঠালকে নতুন রপ্তানি পণ্য হিসেবে দেখছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তবে পাকা অবস্থায় নয়, কাঁচা অবস্থায় ফলটি বিদেশে পাঠাতে চান তিনি।

শুক্রবার রাজধানীতে তিন দিনের ফল প্রদর্শনী উপলক্ষে আয়েজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।‘খাদ্য পুষ্টি অর্থ চাই, দেশি ফলের গাছ লাগাই’ প্রতিপাদ্যে  প্রদর্শনী চলছে ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের পাশে আ ক ম গিয়াসউদ্দিন মিলকি মিলনায়তন চত্বরে।

এই প্রদর্শনীতে ফল কেনার সুযোগও আছে। সবার জন্য এই প্রদর্শনী উন্মুক্ত। কোনো টিকিট লাগবে না।

কৃষিমন্ত্রী রলেন, ‘কাঁচা কাঠাল ভেজিটেবল মিট হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়। কাঁচা কাঠালকে চামড়া ফেলে প্রক্রিয়াজাত করে ভারতসহ কয়েকটি দেশ ভেজিটেবল মিট হিসেবে রপ্তানি করছে। মধ্যপাচ্যে তারা বাজার দখল করেছে। যারা ফল রপ্তানি করেন তারা যদি কাঁচা কাঠাল ভেজিটেবল মিট হিসেবে রপ্তানি করে তাহলে অপার সম্ভাবনা রয়েছে।’

দেশের কোন জায়গায় কীভাবে কাঁঠাল গাছ রোপন করা, বাঁচিয়ে রাখা ও কাঁঠাল উৎপাদন করা যায় সে বিষয়ে জ্ঞান আহরণ, তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে সম্প্রসারণ কর্মী, বিএডিসিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কাঁঠালে সকল ধরণের ভিটামিন রয়েছে। কাঁঠাল, কাঁঠালের পাতা, কাঠ কোন কিছুই ফেলা যায় না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন দৈনিক ১১৫ গ্রাম ফল খাওয়া। আমরা খাই ৭৬ গ্রাম। এক সময় তো ৭ গ্রামও খেতে পারতাম না। বর্তমান সরকারের সময় ১১৫ গ্রাম কেন ১৫০ গ্রামে নিয়ে যাওয়া আমাদের জন্য খুব একটা কঠিন হবে না।’

মতিয়া বলেন, ‘এখন আমরা দেশি ফল উৎপাদন বা বিদেশি ফলের আমদানির কথা বলছি, এক সময় এসবের দিকে আমাদের নজর দেয়ার সময় ছিল না। আমাদের একমাত্র কাজ ছিল পেট ভরে ভাত খাওয়া। আমরা এক দিকে ধান, সবজি ও ফলের উৎপাদনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা এখন আম উৎপাদনে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম।’

মতিয়া বলেন, ‘আমের নানাজাত উদ্ভাবনের ফলে এখন ছয়মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়। বঙ্গবন্ধু কাঁঠালকে জাতীয় ফল হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। নতুন প্রজন্ম এটা জানে কিনা সন্দেহ।’

সেমিনারে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও। তিনি বলেন, ‘এসডিজি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হলে পুষ্টির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।...এখনো আমাদের দেশে পুষ্টির যথেষ্ট অভাব রয়েছে।’

পুষ্টির অভাব দূর করতে ফলকে অস্ত্র হিসেবে দেখছেন মুহিত। তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রচলিত ও অপ্রচলিত ৭০ ধরনের ফল উৎপাদন হয়। এসব ফল মাত্র চার মাস উৎপাদন হলেও এ চার মাসকে আমরা আট মাস করে দিয়েছি। এখানে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। এ উন্নতিকে আমাদের ধরে রাখা দরকার।’

 (ঢাকাটাইমস/১৬জুন/জেআর/ডব্লিউবি)