রাঙ্গামাটিতে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা

প্রকাশ | ১৬ জুন ২০১৭, ১৯:০২ | আপডেট: ১৬ জুন ২০১৭, ২০:৩২

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
ঢাকাটাইমস

রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসের তিন দিন পর উদ্ধার অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস। তবে কোথাও মরদেহ থাকার তথ্য পেলে আবার অভিযান শুরুর কথা জানিয়েছে বাহিনীটি।

শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে অভিযান শেষ করার কথা জানান চট্টগ্রাম ডিভিশনের ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. জসিম।

গত সোমবার রাতভর বৃষ্টির পর মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ে ব্যাপক ধসের খবর পাওয়া যায়। তিন জেলা মিলে দেড়শও বেশি প্রাণহানির মধ্যে রাঙ্গামাটিতেই প্রাণ হারিয়েছে ১১০ জনের মত।

ধসে পড়া মাটির চাপায় আরও অনেকে নিখোঁজ আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর নিখোঁজদের সন্ধানে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। সেনাবাহিনী, পুলিশ, জেলা প্রশাসন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা অভিযান শুরুর পর থেকেই বাড়তে থাকে উদ্ধার হওয়া মরদেহের সংখ্যা।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মো. জসিম বলেন, ‘আমরা শেষ পর্যন্ত আর কোনো লাশ খুঁজে পাইনি। তবে কেউ যদি দাবি করে আরও লাশ আছে সে প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা আবার উদ্ধার অভিযান শুরু করব।’ তবে স্থানীয়রা কেউ এখন পর্যন্ত তাদের স্বজন নিখোঁজ থাকার কথা বলে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান শুক্রবার বিকাল পৌনে ৬টায় এক সংবাদ সম্মেলনে উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘ভূমি ধসের বিষয়টি প্রাকৃতিক। বৈশ্বিক আবহাওয়ার পরিবর্তন ও ভারী বর্ষণে এ ঘটনা ঘটেছে। এবারের ভারী বর্ষণে রাঙামাটির সব পাহাড়ের চূড়া ভেঙে গেছে। এটা ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা। আমরা সচেতন থাকব।’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস) এ কে এম শাকিল নেওয়াজও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

উদ্ধার অভিযান শেষ হলেও রাঙ্গামাটির পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। তিন দিন আগে বিচ্ছিন্ন হওয়া বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হলেও চট্টগ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ চালু হয়নি এখনও। মূল সড়ক ধসে পড়ায় সেটি মেরামত বা নতুন করে সড়ক নির্মাণ করতে হবে। চট্টগ্রামের সঙ্গে কাপ্তাই পর্যন্ত সড়ক চালু আছে। সেখান থেকে নৌপথে আসতে হচ্ছে রাঙ্গামাটিতে।

(ঢাকাটাইমস/১৬জুন/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি)