বগুড়া-৫ আসনে হিসাব নিকাশ শুরু
বগুড়া -৫ সংবদীয় আসন ধুনট ও শেরপুর উপজেলা নিয়ে। বগুড়া এবং সিরাজগঞ্জ জেলার সীমানা ঘেঁষে গঠিত পূর্ব দক্ষিণ বগুড়া নামে পরিচিত। সম্ভাব্য প্রার্থীদের পদচারণায় নির্বাচনের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হলে এই আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতের একাধিক নেতা ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে। তারা নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ, পরিচিত অপরিচিত জনদেও খোঁজ খবর নেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন দিবসে শুভেচ্ছা পোস্টার, ফেস্টুন লটকানো শুরু করেছে।
বগুড়ার যে দুটি আসনে আওয়ামী লীগ বরাবর ভাল ভোট পেয়ে থাকে, এর একটি এই আসন। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে এই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান। ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনেও এই আসনে আওয়ামী লীগ পাঁচ হাজার ভোটে হেরেছিল।
আওয়ামী লীগের অবস্থান
বর্তমান আওয়ামী লীগের হাবিবর রহমান আবারো নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি ছাড়াও দলের সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনুও এবার দলীয় মনোনয়ন পেতে আগ্রহী। তিনিও মাঠে নেমেছেন।
সংসদ সদস্য হাবিবর রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা গত দুই নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন এবং তিনি জনগনের ভোটে নেত্রীর আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। তিনি এবারও আশাবাদী দল তাকেই বেছে নেবে। আগামী নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই নিয়েছেন বলেও জানান হাবুবুর রহমান।
বিএনপির কর্যক্রম
বগুড়া মানেই বিএনপির ঘাঁটি। তবে এই আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলে। ক্ষমতাসীন দলের শক্তিশালী অবস্থানের মধ্যে বিএনপির জন্য আরেক বাধা দলের ভেতরের কোন্দল। ফলে বিএনপির সমর্থকরা কঠিন ভাবে হতাশ।
এই পরিস্থিতির মধ্যে বগুড়ার-৫ আসনে নির্বাচনের জন্য কিছুটা তৎপর হয়ে উঠেছে পাঁচজন নেতা। নিজ নিজ অবস্থান থেকে তারা কর্মীদের সাথে যোগযোগ বৃদ্ধিতে তৎপর হয়ে উঠেছে। এখন পর্যন্ত যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, শেরপুর উপজেলা সভাপতি জানে আলম খোকা, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক এসএম শফিউজ্জামান খোকন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম শাহীন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কেএম মাহবুবুর রহমান হারেজ। বিএনপির সংস্কারপন্থি নেতা গোলাম মো. সিরাজের নামও উঠে এসেছে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায়।
শেরপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি জানে আলম খোকা এবং কেন্দ্রীয় সদস্য কেএম মাহবুবুর রহমান হারেজ দুই জনই ঢাকাটাইমসকে বলেন, মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে তারা আত্মবিশ্বাসী। কেন্দ্র থেকে ইঙ্গিত পাওয়ার দাবিও করেছেন তারা।
প্রস্তুতি আছে জামায়াতেরও
রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচনের অযোগ্য হলেও জোটের অন্য শরিক দলের প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে জামায়াতে ইসলামের। দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাম উঠে এসেছে দবিবুর রহমানে।
দবিবুর রহমান বর্তমানে শেরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান। জামায়াতের এই নেতাকে আগামী নির্বাচনের মাঠে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ইতোমধ্যেই তিনিও পোস্টার ফেস্টুন এবং গণমানুষের কাছে প্রচারণা শুরু করেছেন।
দবিবুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত হলে তিনি এবার সংসদ নির্বাচন করবেন। তিনি বলেন, ‘দেশে যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে যে প্রতীকেই দাড়াই না কেন শেরপুর ধুনট-শেরপুরের জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন।’
সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কোন নেতাকেই নির্বাচনের মাঠে এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের জেলা নেতাদের মুখেও এখনো কারো নাম উচ্চারণ করতে দেখা যায়নি।
ঢাকাটাইমস/১৭জুন/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি
মন্তব্য করুন