পটুয়াখালী-৩: বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে হাসান
একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নানা উসিলা আর উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকা মাতিয়ে রাখছেন রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলের নেতারাই এখন মাঠে সক্রিয়। দলীয় মনোনয়ন পেতে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছেন তারা।
পটুয়াখালী-৩ নির্বাচনী আসনে বিএনপির প্রার্থীদের নিয়ে আজকের আয়োজন।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা-গলাচিপা) আসনে বিএনপির অনেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেও তিনজনের নাম জোর আলোচনায়। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খান- এই তিনজন এলাকায় দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছেন। নেতাকর্মীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে নিজের দলীয় মনোনয়নের পক্ষে জনমত তৈরির চেষ্টা করছেন তারা।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই তিনজনের মধ্যে জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি হাসান মামুন। ২০১০ সালে ছাত্ররাজনীতিকে বিদায় জানানোর পর থেকেই তিনি এলাকার রাজনীতে সক্রিয়। দশমিনা-গলাচিপাবাসীর কর্মসংস্থানেও বেশ অবদান রাখেন এই তরুণ রাজনীতিক।
সবকিছু বিবেচনায় হাসান মামুন এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার আগাম দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।
এই আসনটি মূলত আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত শুধু জিয়াউর রহমানের আমলে একবার এই আসনে জিতেছিল বিএনপি। এ ছাড়া সব নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়লাভ করেন। প্রার্থী যে-ই হোক এই এলাকার মানুষ ভোট দেয় নৌকায়।
স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই আসনে আগামী নির্বাচনে হাসান মামুন মনোনয়ন পেলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে শক্ত লড়াই হবে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম হাসান মামুনের দিকেই বেশি ঝুঁকছেন।
দশমিনা উপজেলা বিএনপির কর্মী শাখাওয়াত হোসেন বলেনন, ‘আমাদের দশমিনা খুবই অবহেলিত এলাকা। এই এলাকার উন্নয়নের জন্য হাসান মামুন ভালো ভূমিকা পালন করতে পারবেন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে তিনি এই এলাকার অনেক মানুষের কর্মসংস্থান করেছেন।’ এসব বিচেনায় তাকেই মনোনয়ন দেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
বিএনপির হাইকমান্ড সূত্রে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি তরুণ নেতাদের মনোনয়ন দেয়ার বিষয়ে বেশ তৎপর।
জানতে চাইলে হাসান মামুন ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘আমি এলাকার মানুষের ভাগ্য-উন্নয়নে কাজ করছি। মনোনয়ন দেয়ার মালিক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। আমি বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। ’
বিএনপির মনোনয়ন বিষয়ে আলোচনার টেবিলে আরেক নাম গোলাম মোস্তফা। তিনি জেলা বিএনপির সহসভাপতি। তিনিও এলাকায় বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে এই বিএনপি নেতা বেশ আত্মবিশ্বাসী।
গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘১৮ বছর ধরে বিএনপির সঙ্গে থেকে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করছি। রাজনীতির মাঠে সক্রিয় থেকেছি সব সময়। আমার বিশ্বাস, এবার আমাকে মূল্যায়ন করবে দল। আমাকে মনোনয়ন দিলে দলকে জিতিয়ে আনতে পারব।’
আলোচনায় আছেন আরেক নেতা শাহজাহান খান। তিনি ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে এমপি হয়েছিলেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকবার বিএনপির টিকেটে নির্বাচন করলেও জিততে পারেননি কখনো। তিনিও মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী।
নিজে সব সময় এলাকায় থাকেন উল্লেখ করে সাবেক এই সাংসদ বলেন, ‘এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে সব সময়ই আছি। এবার আমিই মনোনয়ন পাব। দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাব।’
(ঢাকাটাইমস/১৭জুন/এমএম/মোআ)
মন্তব্য করুন