‘রক্ত থাকতে যৌথ প্রতারণার ছবি প্রদর্শন করতে দেবো না’

রক্ত থাকতে যৌথ প্রযোজনার নামে প্রতারণার ছবি এদেশের হলগুলোতে প্রদর্শন করতে দেব না। এমন কথা বললেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

যৌথ প্রযোজনায় কোন নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। দুই দেশ থেকে সমান সংখ্যক শিল্পী ও কলাকুশলী নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। তাই চলচ্চিত্রের ১৪টি জোটের সমন্বয়ে গঠিত চলচ্চিত্র পরিবার আজ রবিবার দুপুর ১টায় রাজধানীর ইস্কাটনে অবস্থিত চলচ্চিত্র সেন্সবোর্ড ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে। সেই সমাবেশেই ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এ অভিনেতা এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘রক্ত থাকতে যৌথ প্রযোজনার নামে কোন ভারতীয় সিনেমা বাংলাদেশে চলবে না। সেন্সরবোর্ড টাকা খেয়ে এই ছবি মুক্তি দিচ্ছে। টাকা খায় কিন্তু দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কেন?’

সমাবেশটি প্রথমে তেজগাঁও এফিডিসির সামনে শুরু হয় দুপুর ১২টায়। সেখান থেকে পরবর্তীতে চলচ্চিত্র পরিবারের শতশত মানুষ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে। এ সময় চলচ্চিত্র তারকাদের উপস্থিতি ও স্লোগানে গোটা এলাকা মুখরীত হয়ে উঠে।

মিছিল করতে করতে তারা সেন্সবোর্ড এর সামনে অবস্থান করতে থাকেন। এসময় যান চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।

সমাবেশ থেকে চলচ্চিত্র প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘চার থেকে পাঁচ লাখ মানুষ চলচ্চিত্রের সাথে জড়িত। তাদের বাঁচাতে হলে এই অনিয়মের যৌথ প্রযোজনা বন্ধ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই ইন্ডাস্ট্রি (এফডিসি) বাঁচাতে হলে যৌথ প্রযোজনা বন্ধ করতে হবে।’

শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি রিয়াজ বলেন, ‘যৌথ প্রযোজনার নিয়ম না মানার কারণে সরকার তার রাজস্ব হারাচ্ছে। শিল্পীরা কাজ পাচ্ছেনা। নিয়ম মেনে চললে তারা খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারতো। যৌথ প্রযোজনার নামে যারা প্রতারণা করছে তারা চলচ্চিত্রের রাজাকার। তাদের ছবি এদেশে চলবে না।’

এসময় মিশা সওদাগরও বক্তব্য দেন। সমাবেশে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশা সওদাগর, জায়েদ খান, সাইমন, ইমন, ফারুক, পরীমনি, বাপ্পী, সান, শিমুল খান, আরজু কায়েস, মৌমিতা, জেসমিন, রুবেল, চিত্রপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন জেমি, শাহীন সুমন, বজলুর রশিদসহ শতাধিক শিল্পী-নির্মাতা ও প্রযোজক উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/১৮জুন/এমইউ