মনোনয়ন পাবে সক্রিয়, সৎ, যোগ্যরা: লাইলী

প্রকাশ | ১৯ জুন ২০১৭, ০৮:২৩ | আপডেট: ১৯ জুন ২০১৭, ০৮:৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

আগামী সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলে মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে রাজনীতিতে সক্রিয়তা ছাড়াও আরও বিবেচনা কাজ করবে। জানিয়েছেন দলের কৃষি ও সমবায় সম্পাদক এবং সাবেক সংসদ সদস্য ফরিদুন্নাহার লাইলী। তিনি জানান, সততাও হবে একটি মাপকাঠি। সেই সঙ্গে যোগ্যতার প্রমাণও দিতে হবে। ঢাকাটাইমসের সঙ্গে একান্ত আলোচনায় লাইলী এসব কথা বলেন। আলাপচারিতায় ছিলেন তানিম আহমেদ।  

এবারের বাজেট কেমন মনে হচ্ছে?

এ বাজেটের শ্লোগান ছিল উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। আসলেই তাই। বাজেটের আকার, পরিকল্পনা, স্বপ্নই বলছে এবারের বাজেট জনপ্রত্যাশা পূরণে অনেকখানি সফল হবে।

বাজেটে কৃষিখাতে বরাদ্দ নিয়ে আপনি কি সন্তুষ্ট?

বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব। এ সরকারের আমলে কৃষিখাতের উন্নয়ন হয়েছে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রস্তাবিত অর্থবছরে কৃষিতে বরাদ্দও বেড়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাজেটে বরাদ্দ ছিলো ১১ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত অর্থবছরের কৃষিখাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছেট ১৩ হাজার ৬০৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এছাড়াও কৃষি উৎপাদানে ব্যবহৃত কীটনাশক, সার এবং কৃষি উৎপাদনে ব্যবহৃত পণ্য আমদানি কর মুওকুফ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে কৃষক উৎপাদনে আরও উৎসাহী হবে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

বাজেট নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার মানুষের ভেতর অসন্তোষের কথা গণমাধ্যমে এসেছে। সংসদেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে...

বড় বাজেট যেখানে সেখানে কিছুটা অসন্তোষ কিংবা আলোচনা-বিতর্কও থাকবেই। এটা ঠিক, গণতান্ত্রিক সরকার মানে জনগণের সরকার জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে সরকার চলতে পারে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বরাবরই জনগণ মুখ্য। তাঁর কাজ এবং বক্তব্যের মাধ্যমে সেটা সবার কাছে স্পষ্ট। ১৯৭২-৭৩ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে দেশে জাতীয় বাজেটের আকার বেড়েছে প্রায় ৫০০ গুণ। ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার ক্ষেত্রে একটি যুগোপযোগী উন্নয়নমূলক বাজেট দেওয়া হয়েছে এবার। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পার্লামেন্টে আলোচনা হবে। হয়ত কারও কিছু সমস্যা থাকতে পারে। নিশ্চয় তা আমরা দেখবো সমাধান করব।

বিএনপি তো বলছে এটা লুটপাটের বাজেট?

যাদের মূলত কোন কাজ করার যোগ্যতা নেই তারা সকাল বিকাল মিথ্যাচার করে। অনবরত মিথ্যাচার করতে করতে বিএনপির নেতারা একেকজন ইতোমধ্যে জাতীয় মিথ্যুকে পরিণত হয়েছে। মানুষ এখন এদের কথা বিশ্বাস করে না।

আগামী নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ কীভাবে দেখছেন?

নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ মানে জনসমর্থন। সে চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখেই বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। অন্যান্যবারের মতো এবারের বাজেটেও সে প্রতিফলন দেখেছেন। জনকল্যাণের স্বার্থে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের রূপরেখা রয়েছে এ বাজেটে। এ বাজেট বাস্তবায়ন হলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের চেহারায় আমূল পরিবর্তন আসবে। আমাদের বিশ্বাস উন্নয়নের স্বার্থে জনগণ আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকেই ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ দেবে।

আওয়ামী লীগের তৃণমূলে কোন্দলের দেখা দিয়েছে। তা সমাধানে আপনারা কী ব্যবস্থা নেবেন?

আওয়ামী লীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল। এখানে নেতৃত্ব নিয়ে প্রতিযোগিতা রয়েছে। এ কারণে হয়তো বিভিন্ন জায়গায় নানা সময়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। এ সমস্যা সমাধান করতে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা কাজ করছেন। তারা তৃণমূলের বিভিন্ন জায়গায় সফর করছেন। নির্বাচনের আগেই সকল সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। কারণ আমাদের মধ্যে নানা মতামত থাকলেও আমরা নৌকার প্রশ্নে সবাই এক। আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব।

নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা আপনাদের নির্দেশ দিয়েছেন?

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে। বাংলাদেশ আজকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আমরা রূপকল্প ২০২১ দিয়েছিলাম। আর সেই অনুযায়ী কাজ করছি। আর ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমাদের একটা নির্দেশনা দেয়া আছে। এ নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের আগামী নির্বাচনের ইশতেহার তৈরি করা হবে। এ জন্য আমাদের কাজ চলছে।

আগামী নির্বাচনে দল প্রার্থী হিসাবে কাদের মনোনয়ন দেয়া হবে?

আওয়ামী লীগ একটি বড় দল এখানে প্রার্থী হওয়ার জন্য অনেক যোগ্য নেতৃত্ব রয়েছে। যাদের সাথে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের যোগাযোগ রয়েছে। যারা মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়াই। দলের দুঃসময়ে রাজপথে সক্রিয় ছিল। সৎ যোগ্যদেরই আমাদের সংসদীয় বোর্ড মনোনয়ন দেবেন।

ঢাকাটাইমস/১৯জুন/টিএ/ডব্লিউবি