থমথমে দার্জিলিং পরিস্থিতি
মোর্চার নিহত কর্মীদের মরদেহ নিয়ে পাহাড় জুড়ে শোক মিছিল ছাড়া গতকাল নিরুত্তাপই ছিল দার্জিলিংয়ের পরিস্থিতি।
দার্জিলিংয়ে এই মিছিলের কারণে খুব উৎসাহিত মোর্চার নেতারা। কারণ তারা মনে করছে, মোর্চার শীর্ষ নেতৃত্ব যেখানে হাজির নেই, সেখানে এত বড় মিছিল ও জমায়েত থেকে বোঝা যাচ্ছে, হারানো জমি আবার গুছিয়ে এনেছে দল।
মোর্চা বিধায়ক অমর সিং রাই বলেন, ‘রাজ্য সরকার পাহাড় থেকে এত নিরাপত্তা বাহিনী তুলে নিলেই পাহাড় স্বাভাবিক হবে। আমরাও আলোচনায় বসার কথা ভাববো।’
পাহাড়ের এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে ফোন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। ফোনে শনিবারের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন মমতা। তিনি দাবি করেন, মোর্চাকে উত্তর-পূর্বের জঙ্গিরা মদত দিচ্ছে। এরপরেই টুইট করে রাজনাথ পাহাড়ের মানুষকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানান।
অপরদিকে, গতকাল বড় কোনও গোলমাল না হওয়ায় স্বস্তিতে পুলিশও। যদিও যে কোনও উত্তেজক পরিস্থিতির মোকাবিলায় পুলিশ, আধা সেনা ও সেনা জওয়ানরা চকবাজার লাগোয়া প্রতিটি বাড়ি, গলির উপরের চাতাল, ছাদ, ব্যালকনির দখল নিয়েছিলেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের বনধের কারণে খাদ্যদ্রব্যের মজুত সংকটে পড়েছে পাহাড়ের বাসিন্দারা। পাহাড়ের শহর-গ্রামে তাই এখন প্রধান আলোচ্য, খাবার জোগাড় হবে কী করে? মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা বলেন, ‘এর আগেও বন্ধ হয়েছে। খাবার ঠিকই মিলবে।’ কিন্তু তাতে পাহাড়ের মানুষ আশ্বস্ত হচ্ছেন না। সমতল থেকে ট্রাক না এলে পাহাড়ের ছোট বড় গ্রামের এই সব মুদি দোকানের বেশির ভাগই সোমবার থেকে ফাঁকা পড়ে থাকবে। চিন্তায় পাহাড়ের ঘরনীরা। কোথাও যেটুকু রসদ রয়েছে, প্রতিবেশীরা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিচ্ছেন।লাগাতার বন্ধ চলতে থাকায় খাদ্য সঙ্কটের দিকেই এগোচ্ছে দার্জিলিং।
(ঢাকাটাইমস/১৯জুন/জেএস)
মন্তব্য করুন