নিজ দলে টালমাটাল টেরিজা
নানা দিক থেকে ক্ষোভের মুখে কোণঠাসা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। মুখরক্ষা করতে না পারলে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে নিজ দলের লোকজনই উৎখাত করতে পারেন টেরিজাকে।
গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পরে টেরিজা দুর্গতদের কাছে পৌঁছতে সময় নিয়েছিলেন অনেকটাই। তা নিয়ে ব্রিটেনের জনতার একটি বড় অংশ চূড়ান্ত অসন্তুষ্টও হয়েছিল। ক্ষোভের বহর এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে কেনসিংটনে একটি গির্জায় আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাকে পুলিশ প্রহরায় বের করে আনতে হয়।
এদিকে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার জন্মদিনে কোনও রকম উৎসব অনুষ্ঠান থেকে দূরে রাখেন নিজেকে। এর আগেও তিনি আক্রান্তদের কাছে গিয়েছিলেন। তখনই এ ব্যাপারে টেরিজার নিষ্ক্রিয়তা সমালোচিত হয়।
প্রথমে নির্বাচনে ভরাডুবি, যার জেরে সরকার গড়তে গিয়ে হিমশিম টেরিজা। তারপরে গ্রেনফেল টাওয়ার অগ্নিকাণ্ডে যথাযথ ভূমিকা পালন না করা, সব মিলিয়ে খুবই কোণঠাসা দশা টেরিজার।
তাই বেশ কিছু দিন ধরেই কনজারভেটিভ দলের অন্দরে নতুন নেতৃত্বের দাবি উঠেছে। টেরিজাকে সরাতে অন্তত ১২ জন এমপি লিখিত দাবি জানিয়েছেন। তাদের দাবি, আগামী সপ্তাহেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
এক প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, ‘নিজের দিকে সহানুভূতি টানার চেষ্টা না করে তার এখন উচিত কোমর বেঁধে নেমে পরিস্থিতি সামলানো। যদি সেটা না পারেন, তার সরে যাওয়াই উচিত।’
ইতিমধ্যেই ১২ জন এমপি তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সংখ্যাটা আরও বাড়লে টেরিজার বিদায় নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে ব্রিটেন আবার আর একটি নির্বাচনের পথে হাঁটবে।
মোদ্দা কথা, রানির বক্তৃতার পরেই স্পষ্ট হয়ে যাবে টেরিজা আর প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকবেন কিনা।
(ঢাকাটাইমস/১৯জুন/জেএস)
মন্তব্য করুন