রিজার্ভ চুরির প্রতিবেদন আবার পেছাল
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনার মামলায় আবারও প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। এ নিয়ে প্রতিবেদন দেয়ার সময় পেছাল ১৫ বারের মত। তাদেরকে আগামী ৩০ জুলাই প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত।
সোমবার ঢাকার মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট একেএম মাঈন উদ্দিন সিদ্দিকী শুনানি শেষে এ তারিখ ধার্য করেন।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়ে যায়।
ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ক্যাসিনোয় এই টাকার একাংশ খরচ হয়ে যায়। দেশের অভ্যন্তরের কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করেছে বলে ধারণা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর।
ফিলিপাইনে পাচার হওয়া অর্থের মধ্যে দেড় কোটি ডলার বাংলাদেশে ফেরত এসেছে। বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।
ফিলিপাইনের পাচারের সময় শ্রীলঙ্কাতেও দুই কোটি ডলার পাচার হয়েছিল। তবে ব্যাংক থেকে সে টাকা সরিয়ে নেয়ার আগেই ধরা পড়ে যায় এবং তা বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
ওই ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা অজ্ঞাতানামাদের আসামি করে একটি মামলা করেন।
মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ৪ ধারাসহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৫৪ ধারায় ও ৩৭৯ ধায়ায় ওই মামলা দায়ের করা হয়।
সারা বিশ্বে আলোড়ন তোলা এই ঘটনাটির তদন্তে সিআইডির পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিনকে দায়িত্ব দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। তিনি এরই মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন সরকারকে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত একাধিক তারিখ দিয়েও এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেননি। এই প্রতিবেদন প্রকাশ হলে ফিলিপাইন থেকে বাকি টাকা ফেরত আসা অনিশ্চিত হবে বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী। বলেছেন, সব অর্থ ফেরত আসলেই প্রতিবেদন প্রকাশ হবে।
ঢাকাটাইমস/১৯জুন/আরজেড/ডব্লিউবি