গণতন্ত্র হরণ করেছে আ.লীগ: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৯ জুন ২০১৭, ২২:৫৩ | প্রকাশিত : ১৯ জুন ২০১৭, ২১:০১

আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে হরণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় বলছি, আমরা গণতন্ত্র চাই। এটা চাই বলেই আমরা সবসময় লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি।’

সোমবারে এক ইফতার অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। গুলশানের ইমানুয়েলস কনভেনশন সেন্টারে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস এই ইফতারের আয়োজন করে। যানজটের কারণে একেবারে ইফতারের আগমুহূর্তে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন ফখরুল।

পার্বত্য চট্টগ্রামসহ যেসব এলাকায় পাহাড় ধসে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটেছে সেসব এলাকাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানান ফখরুল। একই সঙ্গে মানবিক বিপর্যয়ে হতাহতদের স্মরণে রাষ্ট্রীয় শোক পালনের দাবিও করেন তিনি।

ফখরুল বলেন, ‘আমরা যখন এখানে ইফতার করছি, তখন অনেক দূরে দেশের একদম দক্ষিণাঞ্চলে আমাদের ভাই-বোনেরা খুব কষ্টে আছে, তাদের ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ছে, আত্মীয়-স্বজনরা মারা গেছেন। ভূমিধসে ১৭০ এর মতো মানুষ মারা গেছেন। তারপরও দুঃখজনকভাবে সরকার কোনো রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেনি এবং এখনো ওই অঞ্চলটিকে উপদ্রুত এলাকা ঘোষণা করেনি।’

‘আজকের এই মাহফিল থেকে আমরা দাবি জানাচ্ছি যে, অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে এলাকা ও চট্টগ্রামের যে সমস্ত অঞ্চলে ভূমিধস হচ্ছে-ওইসব এলাকাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করা হোক এবং রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হোক।’-বলেন ফখরুল।

সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতির সংস্কৃতি এমন একটা জায়গায় নিয়ে চলে গেছে আওয়ামী লীগ যেখানে বাংলাদেশের যে মৌলিকত্ব, সেই মৌলিকত্ব হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্রহীন দেশে প্রকৃত সংস্কৃতি চর্চা হয় না। গণতন্ত্রহীন ও অধিকারহীন অবস্থার মধ্যে দেশ চলছে। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে জাসাস এই সংস্কৃতিকে ধারণ করে তারা সত্যিকার অর্থেই দেশের মানুষের প্রকৃতি কৃষ্টি ও সংস্কৃতি চর্চা করবেন এবং দেশের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেবেন।’ ফখরুল বলেন, ‘আমরা মনে করি, আমাদের নেত্রীও বলেছেন, একমাত্র একটা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। সেটাকে ফিরিয়ে আনার দাবি আমরা জানাচ্ছি।’

গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে ‘সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনমত’ সৃষ্টি জন্য জাসাসের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

পরে জাসাস সভাপতি অধ্যাপক মামুন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য গাজী মাজহারুল আনোয়ার, আবদুস সালাম, তাহমিনা রুশদীর লুনা, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফউদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক এম এ মালেক, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, জাসাসের সাবেক সভাপতি রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলামসহ জাসাস নেতাদের নিয়ে ইফাতার করেন মির্জা ফখরুল।

জাসাস নেতাদের মধ্যে সহ-সভাপতি বাবুল আহমেদ, লায়লা খানম ঝুনু, মুনিরুজ্জামান ‍মুনির, জাহাঙ্গীর আলম রিপন, ওবায়দুর রহমান চন্দন, শায়রুল কবীর খান,মীর সানাউল হক, আহসান উল্লাহ, হাসান চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ নেতা জাকির হোসেন রোকন, শিবা সানু, হান্নান মাসুদ, মাসুদুর রহমান টিপু, দ্বীন মোহাম্মদ মিন্টু প্রমূখ ইফতারে অংশ নেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯জুন/বিইউ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :