নাটোরে পিটুনিতে আহত গ্রামবাসীর পাশে আ.লীগ

নাটোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ জুন ২০১৭, ২১:০২

নাটোরের সিংড়ায় যুবলীগ কর্মীদের হামলায় আহত আনোলিয়া গ্রামবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। সোমবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আনোলিয়া গ্রামে এসে দুঃখ প্রকাশ করে আহতদের চিকিৎসার সকল খরচ বহনের ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া যুবলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।

এদিকে, আনোলিয়া গ্রামবাসীদের ওপর হামলার ঘটনায় ১৮ জনের নামে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি বাঁধন নামে এক যুবলীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশে সোমবার দুপুরে উপজেলার আনোলিয়া গ্রামে যান সিংড়া পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা, উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও প্রতিমন্ত্রী পলকের ব্যক্তিগত সহকারী রুহুল আমীন, শেরকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব রুবেল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলামসহ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

এসময় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস আনোলিয়া গ্রামবাসীর উদ্দ্যেশে বলেন, প্রতিমন্ত্রী পলকের নির্দেশে তারা আনোলিয়া গ্রামে এসেছেন। যুবলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহতদের সকল চিকিৎসার খরচ প্রতিমন্ত্রী বহন করবেন।

তিনি বলেন, যুবলীগ নামধারী যত বড়ই সন্ত্রাসী হোক তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রতিমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া যুবলীগ, ছাত্রলীগ নামধারী কোন সন্ত্রাসী যাতে কমিটিতে থাকতে না পারে, সে কারনে বহিষ্কারের জন্য উপজেলা যুবলীগ নেতৃবৃন্দকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ১৭ থেকে ১৮ জনের নামে আনোলিয়া গ্রামাবাসী থানায় একটি মামলা করেছে। ইতোমধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বাধন নামে এক যুবলীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি অব্যাহত রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পূর্ববিরোধের জের ধরে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে আনোলিয়া গ্রামবাসী ৫ থেকে ৬টি নমিসন নিয়ে উপজেলা সদরে আসছিল। এসময় খবর পেয়ে জোলারবাতা এলাকায় যুবলীগ কর্মী সম্রাট ও কাওছার হোসেনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের বাহিনী নসিমন গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র, রড ও লাঠি দিয়ে গ্রামবাসীকে গণপিটুনি দেয়। এসময় অন্তত ২০ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করে। ঘটনার পরপরই স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ গ্রামবাসীকে দেখতে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯জুন/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :