শ্যালিকা ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে, ভগ্নিপতি গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে শ্যালিকা ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ভগ্নিপতি মুরাদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে উপজেলার কাজীপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় ধর্ষণের শিকার শ্যালিকা বাদী হয়ে অভিযুক্ত ভগ্নিপতি মুরাদকে আসামি করে বন্দর থানায় মামলা করেন।

সাত বছর আগে বন্দর উপজেলার ঘারমোড়া কাজীপাড়া এলাকার বজলুর রহমানের ছেলে মুরাদ মিয়ার সাথে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দী থানার পশ্চিম কাউয়াদী এলাকার ধর্ষণের শিকার শ্যালিকা কিশোরীর বড় বোনের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ভগ্নিপতি মুরাদ তার দিকে কুদৃষ্টি দেয়। পারিবারিক কলহের কারণে মুরাদের সঙ্গে তার স্ত্রীর ঝগড়া হলে এক মাস আগে পাঁচ বছরের সন্তান নিয়ে ওই কিশোরীর বড়বোন বাপের বাড়ি চলে যায়। গত ২৬ মে ভগ্নিপতি মুরাদ তার শ্যালিকাকে মুঠোফোনে ফোন করে জানান, তার ছেলের জন্য ঈদের জামা কাপড় ক্রয় করেছেন। সেগুলো নিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে আসতে বলেন। শ্যালিকা ভগ্নিপতির কথায় বন্দর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসলে মুরাদ বন্দর উপজেলার কলাবাগ জনৈক সোবাহান ওরফে পরান বাবুর দোতালা ভবনের নিচতলা ভাড়াটিয়া ফারুকের রুমে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। পরে শ্যালিকাকে মুরাদ দুদিন একটি ঘরে আটকে রাখে। গত ২৮ মে মুরাদ তার শ্যালিকাকে ভয় দেখিয়ে বিয়ে করে। পরে গত ১৫ জুন শ্যালিকা কৌশলে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানানায়। পরে তারা থানায় জানালে মুরাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু কালাম জানান, এই ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই শ্যালিকা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করেছে। ভগ্নিপতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৯জুন/প্রতিনিধি/এলএ)