গাইবান্ধায় রঙিন সাজে বিপণীবিতান

জাভেদ হোসেন, গাইবান্ধা
 | প্রকাশিত : ২০ জুন ২০১৭, ১১:১৮

গাইবান্ধা জেলা শহরের মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় বলে দিচ্ছে ঈদ খুব বেশি দূরে নয়। প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের আগে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। আর তাই প্রতিটি দোকানে বেড়ে গেছে কাপড়ের বিক্রি। রমজানের বেশ আগে থেকেই ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে প্রস্তুত শহরের মার্কেটগুলোর প্রতিটি দোকান।

শহরের বড় বড় মার্কেটগুলোকে যে যার ইচ্ছে মতো লাল-নীল বাতি দিয়ে অপরূপ সাজে সাজিয়ে তুলেছেন। কেউ কেউ আবার নিজের দোকান নিজের মতো সাজিয়ে নিয়ে ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করছেন।

একইভাবে ফুটপাতের খুচরো ব্যবসায়ীরাও এ বছর ভালো বিক্রির আশা করছেন। তারা বলছেন, গত বছর জুলাইয়ে রোজার ঈদের সপ্তাহখানেক আগে গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার কারণে সারাদেশে জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি হয়নি তাদের। এবার সেটা পুষিয়ে নিতে চান তারা। এই প্রত্যাশায় নানা ডিজাইনের নতুন নতুন ঈদ পোশাকে ক্রেতা আকর্ষণের প্রতিযোগিতা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজসহ পোশাকের দোকানগুলোতে।

শহরের সালিমার সুপার মার্কেট, খান প্লাজা, তরফদার ম্যানসন, রেজিয়া ম্যানসন, ইসলাম পাজা, পৌর মার্কেট, শাপলা মার্কেট, গোবিন্দ প্লাজা, ইসলামী ব্যাংক মার্কেট, সবুজ মার্কেট, থান পট্টিসহ স্টেশন রোডের বিভিন্ন এলাকার মার্কেটগুলোতে এখন সাজসাজ রব। অনেক মার্কেটে অতিরিক্ত আলোকসজ্জাসহ বিভিন্ন ডিসকাউন্ট অফার দেয়া হয়েছে। প্রতিটি দোকানেই দীর্ঘ রাত পর্যন্ত কর্মচারী ও মালিকদের অবসর নেই। অনেকে আগে ভাগেই অতিরিক্ত কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে দোকানে বেচা-বিক্রির আয়োজন করেছেন।

শহরের স্টেশন রোডের রঙ্গন গার্মেন্টেসের স্বত্ত্বাধিকারী মাসুম আহম্মেদ বললেন, শিশু, মহিলা ও পুরুষদের অত্যাধুনিক পোশাকের সমাহার ঘটানো হয়েছে এবার। পাখি, ফোর টাচ, লং ফ্রগ, বোঝেনা সে বোঝেনা, লুঙ্গি ড্যান্স, বাহা, জিপসী, ফ্রক, বিজ কটন, ঝিলিক বিভিন্ন নামে পোশাক পাওয়া যাচ্ছে মার্কেটগুলোতে। শিশুদের পোশাক এক হাজার থেকে ১০-১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকা হচ্ছে। নতুন নামে ও ডিজাইনে জিন্স প্যান্ট, সর্ট পাঞ্জাবি ও গেঞ্জি রাখা হয়েছে দোকানে।

স্টেশন রোডের পুম্পা গার্মেন্টের স্বত্ত্বাধিকারী শাহজাহান খান আবু বলেন, দিনরাত সমানতালে বিক্রি চলছে শহরের প্রতিটি দোকানে। দিনে গ্রামাঞ্চলের ক্রেতাদের আনাগোনা বেশি। রাতে শহরের ক্রেতারা করেন কেনাকাটা।

শহরের শাড়ির মার্কেট বলে পরিচিত শাপলা মার্কেট ও থান পট্টিতে তেমন শাড়ির বিক্রি না থাকলেও কাপড় কিনে পোশাক বানানোর ঝোকটা এবার একটু বেশিও মনে হচ্ছে।

শাড়ির দোকানগুলোতেও এসেছে নতুন ডিজাইনের কাপড়। আবির বস্ত্র বিতানের স্বত্ত্বাধিকারী জানালেন, জামদানি, বুটিক, তসর, টাঙ্গাইল, পাবনা, রাজশাহী সিল্ক শাড়ির পসরা সাজানো হয়েছে পর্যাপ্ত। সাড়ে ৩ থেকে ১৬-১৯ হাজার টাকা করে দাম হাঁকা হচ্ছে ডিজাইন অনুযায়ী শাড়ির। তিনি আরও বলেন, এবারে বিক্রি অনেকটা কম।

থান পট্টির কোহিনুর ক্লোথ স্টোরের হালিম মিয়া জানান, রোজার আগে থেকে থান কাপড়ের বিক্রি প্রচুর হয়েছে। এখন একটু কম, তবে শাড়ি বিক্রি এবার অত্যন্ত কম মনে হচ্ছে।

শাড়ীর জগতে অনন্য নাম ‘সুকন্যা’র স্বত্ত্বাধিকারি রিপন বলেন, এখন দোকানে এসে শাড়ির ক্রেতা তুলনামূলক কম। কারণ, অনলাইন ক্রেতারা এখন ঘরে বসে সহজে শাড়ি কিনে ফেলেন।

গাইবান্ধা জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি লিটন কুশারী ঢাকাটাইমসকে বলেন, জেলার অন্যান্য উপজেলার বাসিন্দারা এবার রংপুর, বগুড়া নয় তারা জেলা শহরে আসছেন। সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, সাদুল্যাপুর, ফুলছড়িসহ চরাঞ্চলের ক্রেতারা ব্যাপকহারে গাইবান্ধা শহরের মার্কেটগুলোতে কেনাকাটা করছেন।

(ঢাকাটাইমস/২০জুন/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :