বাজেট উচ্চাভিলাষী: বিশ্বব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২০ জুন ২০১৭, ১৫:২৩ | প্রকাশিত : ২০ জুন ২০১৭, ১২:১৫

প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটকে উচ্চাভিলাষী বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসে বাজেট পর্যালোচনা বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাহিদ হোসেন বলেন, আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাজেটে কোনো সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা নেই। লক্ষ্য পূরণে যে ধরনের সংস্কার বা পদক্ষেপ দরকার ছিল বাজেটে তা উল্লেখ করা হয়নি। অনেক লক্ষ্যমাত্রাই আশার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়েছে। বাস্তবতার সঙ্গে অনেক কিছুই মিল নেই।

বাজেটে আশা দীর্ঘ, আশ্বাস সংক্ষিপ্ত

প্রস্তাবিত বাজেটে আশা দীর্ঘ, আশ্বাস সংক্ষিপ্ত বলেও মন্তব্য করেছেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাজেটে প্রবৃদ্ধি, সীমিত ঘাটতি, বৈদেশিক সহায়তা, রাজস্ব আদায়সজ যেসব লক্ষমাত্রা ধরা হয়ে হয়েছে, তা হয়ত অর্জনের আশা করতেই পারি। কিন্ত এটা কিসের ভিত্তিতে হবে সেটা বাজেটে দেখছি না। একই সঙ্গে প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নে যে ধরনের আর্থিক খাতসহ অন্যান্য সেক্টরে যেসব সংস্কারের প্রয়োজন ছিল তা দেখছি না।’

আগামী অর্থবছরের বাজেটে পাঁচটি চ্যালেঞ্চ রয়েছে জানিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের এই লিড ইকোনমিস্ট জানান, ‘বাজেট বাস্তবায়নে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এরমধ্যে ব্যাংকিং সেক্টরে সুশাসণ ও তদারকি বাড়ানো, খেলাপি ঋণের

ঝুঁকি কমিয়ে আনা। বিদ্যুতের মূল্য আন্তর্জিাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। এছাড়া সঞ্চয়পত্রে মাত্রাতিরিক্ত সুদ গুনতে হচ্ছে সরকারকে, কাজেই সঞ্চয়পত্রের সুদের হার সমন্বয় করতে হবে। মূদ্রা বিনিময় হারকে তার বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে দিতে হবে। একই সঙ্গে চালের মূল্য রিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।’

বাজেটে চমক নেই

অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন কোনো চমক নেই। সব কিছুই গতানুগতিক। রেমিটেন্স খাতেও তেমন সুবাতাস নেই। এখন ১৪ শতাংশ নেতিবাক প্রভাব এই খাতে রয়েছে। বাজেট সংস্কারে স্বীকৃতি আছে কিন্তু পদক্ষেপ নাই।’

জাহিদ হোসেন বলেন, ‘গত তিন বছর ধরে প্রথম পর্যায়ে এডিপি বাস্তবায়ন ধীরগতি। তবে পরবর্তী পর্যায়ে এটা দ্রুত গতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে। চালে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। ভাগ্যক্রমে তেলে লাভ হচ্ছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ লোকসানে আছে।’

ঢাকার লিড ইকনোমিস্ট জাহিদ হোসেইন বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যয় অনেক বেশি। এর প্রধান কারণ টেন্ডারিংয়ে প্রতিযোগিতা অনেক কম। তাই সরকারের উচিত ৮০ শতাংশ ই-টেন্ডারিং করা। এটা করতে পারলে টেন্ডারিংয়ে প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন খরচ কমবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক প্রতিনিধি চিমিও ফান, বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ শেখ

তানজিব ইসলাম, অ্যানালিস্ট সাবিহা সুবহা মোহনা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মেহরিন এ মাহবুব।

(ঢাকাটাইমস/২০জুন/জেআর/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :