তীব্র যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী

এম গোলাম মোস্তফা, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২০ জুন ২০১৭, ১৯:৪৯ | প্রকাশিত : ২০ জুন ২০১৭, ১৬:৫৫

ঈদের বাকি এখনো ছয়/সাত দিন। ইতোমধ্যে ঈদের আনন্দ আপনজনদের নিয়ে উপভোগ করতে অনেকেই ছুটছেন নাড়ির টানে। যারা এখনো যাননি তারাও ব্যস্ত কেনাকাটায়। এ কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকেই যানজটের কবলে পড়েছে নগরবাসী। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। দুপুরের পর গাড়িগুলো রাস্তায় স্থবির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের বেশি কষ্ট হচ্ছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, গুলিস্তান, প্রেসক্লাব, মৎসভবনের মোড়, শাহবাগ, রূপসী বাংলার মোড়, বাংলামোটর, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট ঘুরে দেখা যায় ভয়াবহ যানজটের চিত্র। গাড়ির চালক, যাত্রী ও সার্জেন্টের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ সকাল থেকেই এ রকম তীব্র যানজট লেগে আছে প্রতিটি সিগন্যালেই। স্বাভাবিক দিনে যে রাস্তা ১০ মিনিটে যাওয়ার কথা সেখানে আজ লাগছে এক ঘণ্টা থেকে তিন ঘণ্টা।

সিএনজি ড্রাইভার খোকন বসে আছেন হাইকোর্টের সামনের রাস্তায়। তিনি আসছেন মহাখালী থেকে। ঢাকাটাইমসের সঙ্গে আলাপকালে খোকন বলেন, ‘আজকের মতো যানজট এ বছর রমজানে দেখিনাই, মহাখালী থেকে এখানে আসতে আমার সময় লেগেছে প্রায় দুই ঘণ্টা। প্রতিটি সিগন্যালেই প্রচণ্ড যানজট ঠেলে এ পর্যন্ত আসতে হয়েছে।’

বাইকে করে সালেক আসছেন মোহাম্মদপুর থেকে। মিন্টো রোডে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘পেছনে তেমন যানজট না থাকলেও বাংলামোটর থেকে তার প্রায় আধাঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে।

ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্টে করে মিরপুর থেকে আসছেন প্রিন্স। মিরপুর থেকে মৎস ভবন পর্যন্ত আসতে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে।’

ঢাকাটাইমসকে প্রিন্স বলেন, ‘আজকের যানজট তীব্র মনে হচ্ছে, এই রাস্তাটুকু আসতে আমার প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লাগলো। এখন দেখি গাড়ি বন্ধ হয়ে বসে আছে, যাওয়ার কোনো নামই নেই।’

আজকের যানজট পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয় প্রেসক্লাব মোড়ে দায়িত্বরত সার্জেন্ট সামসুজ্জোহার সঙ্গে। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, সকাল থেকেই গাড়ির প্রচুর চাপ। তার ওপর দোয়েল চত্বরের সামনে একটি অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ায় যানজটের তীব্রতা আরও বেড়েছে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শাহবাগ ট্রাফিক জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আব্দুল খালেক মিয়া ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ঈদের কেনাকাটা করতে মানুষ বের হয়েছে। অনেকে ভিড় এড়াতে বাড়ির দিকে রওয়ানা করেছেন। আগামীকাল থেকে ঘরমুখী মানুষের ভিড় আরও বাড়বে। এ কারণে অনেকে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত। তবে ইফতারের আগে যেন সবাই ঘরে ফিরতে পারে সেজন্য আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে।’

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ঈদের কেনাকাটা, বাড়িমুখী ঈদযাত্রীর চাপ আর রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি সব মিলিয়েই আজকে যানজট একটু বেশি।’ তবে ট্রাফিক বিভাগ নগরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

(ঢাকাটাইমস/২০জুন/জিএম/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :