তারকার উৎসব-২
লাইনে দাঁড়িয়ে সালামি নিতেন জোভান
বাংলাদেশে উৎসবের শেষ নেই। এর কোনোটার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ধর্মীয় আবেগ। ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতিও জড়িয়ে আছে অনেক উৎসবের সঙ্গে। তবে সব উৎসবই আজকাল সর্বজনীন রূপ নেয়। সব দলের, সব মতের মানুষকে একই মোহনায় নিয়ে আসে উৎসব-আয়োজন। সবাই মিলে আনন্দ করতে না পারলেও আমাদের উৎসব যেন পূূর্ণতা পায় না। এমন দিনগুলোয় সাজে-পোশাকে-খাবারে থাকে বিশেষ রুচির ছাপ। বিনোদনেও থাকে বিশেষত্ব। নানা আয়োজন থাকে টিভিতে। হলে হলে মুক্তি পায় নতুন নতুন ছবি। তারকারা কিভাবে কাটান উৎসবের দিন? তারা কী পরেন, কী করেন? শৈশবে কী করতেন? জানিয়েছেন অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান।
শোবিজের তরুণ তারকাদের মধ্যে জোভান অন্যদের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে আছেন। নিয়মিত কাজ করে চলেছেন নাটক-বিজ্ঞাপনে। ঢাকার কোনো এক কলোনিতেই শৈশব কাটিয়েছেন আর সেখানকার ঈদ উদযাপন অনেক উপভোগ্যও ছিল। এ প্রসঙ্গে জোভান বলছিলেন, ‘তখন সবার মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব কাজ করত। সবচেয়ে মজা হতো চাঁদ রাতে। সবাই মিলে ঈদের চাঁদ দেখাটা খুব উপভোগ করতাম।
আর ঈদের দিন দাদার হাত থেকে সালামি পাওয়ার অভিজ্ঞতাটা অন্যরকম ছিল। দাদার ১০ জন নাতি-নাতনির মধ্যে আমি ছিলাম বড়। সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে সালামি নিতাম। বড়দের সবচেয়ে দামি নোট, তারপর মেঝরা একটু কম দামি। এভাবে একে একে সবাইকে দেওয়া হতো। বাবা-মায়ের কিনে দেওয়া পোশাক পরে আত্মীয়দের বাসায় ঘুরতে যেতাম। কিন্তু এখন ঈদের নামাজ পড়ে এসে ঘুমিয়ে পড়ি। আর পোশাক কেনার ব্যাপারেও তেমন উৎসাহ নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপহার দেওয়া পোশাকই পরি। নরমাল জিন্স, টি-শার্ট পরা হয় ঈদের দিনে। আবার শুটিংয়ের ব্যস্ততাও থাকে। বন্ধু-বান্ধব মিলে পার্টি আর বিভিন্ন সামাজিকতা রক্ষা করতেই দিন কেটে যায়।’
ঢাকাটাইমস/২০জুন/টিএ/টিএমএইচ