খাগড়াছড়িতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

খাগড়াছড়ির নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে লোকজন বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে, বন্যা পরবর্তী সময়ে বিশুদ্ধ খাবার পানির ও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পাহাড়ী ঢলে জেলার দীঘিনালা উপজেলার মেরুং, কবাখালী এলাকাসহ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। মাইনী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ও লংগদুর সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধস ও আকস্মিক বন্যায় খাগড়াছড়ি জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চর ও নি¤œাঞ্চলের কৃষি জমি ও পুকুর তলিয়ে যাওয়ায় চাষিরা বেকায়দায় পড়েছেন।

খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আবুল কাশেম জানান, এবছর প্রবল বর্ষণ অব্যাহত থাকায় জেলার কৃষকদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে।

বৃষ্টি, পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বন্ধসহ বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আ¤্রপালিসহ পাহাড়ে উৎপাদিত ফলমূল বাজারজাত করা যাচ্ছে না। ঝড়ো বাতাস, অতিবৃষ্টি ও পাহাড় ধসের কারণে অনেক ফলদ বাগান ও মৎস খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খাগড়াছড়িতে এখনো পর্যন্ত কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার তালিকা তৈরির কাজ করছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।

গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে খাগড়াছড়ি জেলায় পাহাড় ধসে তিনজন নিহতসহ নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এখনো পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে আজ মঙ্গলাবার খাগড়াছড়ির বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

মঙ্গলবার সকালে খাগড়াছড়ি সদরের ৩নং গোলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে বন্যা কবলিতদের মাঝে এসব বিতরণ করেন তিনি। দুর্গতদের চাল, ডাল, আলু ও তেল দেয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/২০জুন/প্রতিনিধি/ইএস)