জরিপে অগ্রহণযোগ্যরা মনোনয়ন পাবেন না: কাদের
বিভিন্ন সংস্থার জরিপে জনপ্রিয়তা প্রমাণে ব্যর্থ হলে বর্তমান সংসদ সদস্যরা পুনরায় মনোনয়ন পাবেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে যুবলীগের ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সামনে নির্বাচন, ৩০০ আসনে মনোনয়ন দিতে হবে। বিভিন্ন সংস্থার জরিপে যারা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবেন না, উইনেবল ক্যান্ডিডেট হবেন না- তারা মনোনয়ন পাবেন না।’
কাদের বলেন, ‘যারা উইনেবল ক্যান্ডিডেট হবেন তারা মনোনয়ন পাবেন। যারা নেতার জন্য যোগ্য, যার জনপ্রিয়তা আছে- তারাই মনোনয়ন পাবেন।’
তবে কোন ধরনের সংস্থার জরিপ আমলে নেয়া হবে তা তিনি পরিষ্কার করেননি।
এর আগে গত ১০ জুন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিকদের বলেন, ‘তৃণমূলে যাদের জনপ্রিয়তা রয়েছে, তাদেরই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন দেয়া হবে। মনোনয়নের ব্যাপারে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই ও তৃণমূলের মতামত প্রাধান্য দেয়া হবে। সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মী বিচ্ছিন্ন কাউকে মনোনয়ন দেয়া হবে না।’
ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দলীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জনবিচ্ছিন্নদের মনোনয়ন না দেয়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত দেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। সেই নির্বাচনে দলকে প্রার্থী বাছাইয়ে অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে।
গত ৫ মে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে এমপিদেরকে সংসদনেত্রী সাফ জানিয়ে দেন, আগামী নির্বাচনে কাউকে মুখ দেখে মনোনয়ন দেয়া হবে না। নিজের চালানো জরিপ অনুযায়ী একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান শেখ হাসিনা।
সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া প্রতিদিন ইফতার পার্টিতে জেনেশুনে মিথ্যাচার করছেন। বেগম খালেদা জিয়ার এই অপরাধের ক্ষমা নাই। ভুলের ক্ষমা আছে।’
চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপি’র ত্রাণ কার্যক্রমে যুবলীগ কোথাও বাধা সৃষ্টি করছে প্রমাণ করতে পারলে সেই যুবলীগ কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোন জাতীয় নেতার গায়ে হাত দেয়ার অধিকার কোনো যুবলীগ নেতা-কর্মীর নাই।’
ওমর ফারুক বলেন, ‘হেফাজতের সাথে কোনো সন্ধি হয়নি। মাওলানাদের শিক্ষার স্বীকৃতি দিয়েছেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। এদেশের মাওলানারা কেন এস.পি, ডি.সি বা বড় অফিসার হতে পারবেন না। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মূলধারায় নিয়ে এসে তাদের সরকারি চাকরির সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ।
(ঢাকাটাইমস/২০জুন/টিএ/জেবি)