খোয়াই বাঁধে ফাটল, হবিগঞ্জ শহরজুড়ে আতঙ্ক

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ জুন ২০১৭, ২০:০৭

হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে বাঁধের দুই-এক জায়গায় ছোট ছোট ছিদ্র ও ফাটল রয়েছে। এগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা মেরামত করছেন।

দুই দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি আকস্মিকভাবে বৃদ্ধি পায়। মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত নদীর বাঁধের মাছুলিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তা এখন অনেকটা কমে এসেছে। বাল্লা সীমান্তে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আগের ছেয়ে অনেকাংশেই কমে আসছে পানি প্রবাহ।

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ উপচানোর আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে মাইকিং করে শহরবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। সোমবার রাতভর শহরের বিভিন্ন মসজিদেও মাইকিং করে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে আতঙ্কিত হাজার হাজার মানুষ রাতভর নদীর তীরে অবস্থান নেয়। বাঁধের অনেক দুর্বল স্থানে নিজেদের উদ্যোগেই বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করে সাধারণ মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, খোয়াই নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। এ নদীটি জেলার চুনারুঘাট, বাহুবল, সদর, বানিয়াচং ও লাখাই উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে। এ নদীর সঙ্গে পাঁচটি উপজেলার বাসিন্দাদের সুখ-দুঃখ জড়িয়ে রয়েছে।

মূলত রবিবার দুপুর থেকে জেলায় প্রবল বর্ষণ শুরু হয়। বর্ষণের ফলে রবিবার মধ্যরাতের পর থেকে খোয়াই নদীর পানি হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পায়। সোমবার সকালে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নদীর বাঁধে ভাঙনের আশঙ্কায় রাতভর মানুষ তীর পাহারা দেন। রাত ৯টার পর থেকেই বাঁধের কয়েকটি দুর্বল স্থানে ছিদ্র হয়ে পানি শহরে প্রবেশ করতে শুরু করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শহরবাসীর মাঝে মারাত্মক আতঙ্ক দেখা দেয়। ওই স্থানগুলোতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সাধারণ মানুষ নিজেদের উদ্যোগে বালুর বস্তা ফেলে এসব ছিদ্র বন্ধ করার চেষ্টা চালান। শহরের মসজিদগুলোতে মাইকিং করে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তাওহীদুল ইসলাম জানান, অতিসতর্কতা হিসেবে মাইকিং করা হয়েছে। শহরের ৩/৪টি স্থানে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সকাল ৮টায় শহরের মাছুলিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ২৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। তবে নদীর উজানে বাংলাদেশ অংশের বাল্লা সীমান্ত এলাকায় পানি কমছে এবং ভাটি অঞ্চলে ভাঙন দেয়ায় এখন অনেকাংশে পানি কমতে শুরু করেছে।

এর প্রভাব শহরে পড়তে আরও তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগবে। যদি নদীর বাঁধ ভাঙে তাহলে শহরের অন্তত আট ফুট উপরে পানি থাকবে। কারণ নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে গেছে।

(ঢাকাটাইমস/২০জুন/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফেসবুক আইডি ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পতেঙ্গায় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ

চট্টগ্রামে ঈদকে সামনে রেখে জালনোট চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে যাত্রী নামানোর অপরাধে ৩৩ যানবাহনকে মামলা 

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে  

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেক

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :