হবিগঞ্জবাসীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার অবসান
অবশেষে হবিগঞ্জবাসীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার অবসান হয়েছে। বুধবার বিকাল ৩টায় হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। অথচ মঙ্গলবার দুপুরে পানি বিপদসীমার ২৯০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে খোয়াই নদীর পানি স্মরণকালের সর্বোচ্চ বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর শহর প্রতিরক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে পড়ে। বিশেষ করে পৌর এলাকার মাছুলিয়া ব্রিজ, হরিপুর ও কামড়াপুর এলাকায় বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। খোয়াই নদীর অবস্থিত বানিয়াচং সড়ক উপচে পানি প্রবাহিত হয়।
প্রবল বেগে ভারত থেকে ধেয়ে আসা পানি বাঁধের উপরিভাগ ছুই ছুই করে। এতে সোমবার দুপুর থেকে শহরবাসী চরম আতঙ্কে সময় ক্ষেপণ করে। অনেক বাসা থেকে বিশেষ করে শহরের কামড়াপুর, বগলাবাজার, গরুর, হাতকাটাপুর, নোয়াহাটি, ঘাটিয়া, গানিংপার্ক এলাকার বাসা বাড়ির অধিকাংশ শিশু-কিশোর, মহিলা ও বৃদ্ধদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়। কখন ভেঙে যাবে বাঁধ এ আতঙ্কে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় সময় কাটতে থাকে শহরবাসীর।
এদিকে মঙ্গলবার বিকাল থেকে খোয়াই ভাটি এলাকার একে একে সুজাতপুর, রতনপুর, দক্ষিণ সাঙ্গর নৌকাঘাট ও গজারিয়াকান্দি এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। এতে পানি দ্রুত কমতে থাকে। এতে শহরবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। বাসা-বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া লোকজন আবার ফিরে আসতে শুরু করেছে।
অনেকের মতে, খোয়াই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামত, সংস্কারের দায়িত্ব স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তা ব্যক্তিরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। দুই মাস আগে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তা ব্যক্তিদের গাফিলতি নিয়ে সমলোচনার ঝড় উঠে। কিন্তু তাদের ঠনক নড়েনি। ফলে এর খেসারত দিতে হয়েছে হবিগঞ্জবাসীকে। খোয়াই নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে বাঁধের দুর্বল স্থানগুলো বিশেষ করে শহরের কামড়াপুর, মাছুলিয়া ও হরিপুর এলাকায় বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। এতে শহরবাসীকে আতঙ্কে কাঠাতে হয়েছে দুটি দিন।
(ঢাকাটাইমস/২১জুন/প্রতিনিধি/জেবি)