পবিত্র লাইলাতুল কদর আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ জুন ২০১৭, ০৯:২২

আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর। ‘লাইলাতুল’ আরবি শব্দ, এর অর্থ হলো রাত আর ‘কদর’অর্থ সম্মান। লাইলাতুল কদর অর্থ সম্মানিত বা মহিমান্বিত রাত। ধর্মপ্রাণ মুসলমানের কাছে এই রাতটি অত্যন্ত বরকতময় ও পুণ্যময়।

পবিত্র কোরআন অনুযায়ী, ২৭ রমজানের মহিমান্বিত এই রাতটি হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এই রাতে কোরআন নাযিল হওয়ায় কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত অত্যধিক। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সারারাত এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। এ রাতে মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত করবেন।

পবিত্র কোরআনে লাইলাতুল কদরকে মহিমান্বিত রাত হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই রাতের গুরুত্ব তুলে ধরে ‘কদর’সুরায় বলা হয়েছে, এই রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। পুণ্যময় এই রাতে পৃথিবীর নিকটতম আকাশে আল্লাহ তাঁর রহমত পুঞ্জিভূত করেন এবং মানুষের প্রার্থনা কবুল করেন।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিলের উদ্দেশ্যে কদরের রাতে ইবাদত করে তার পূর্বের পাপসমূহ ক্ষমা করা হয়। (বুখারী)। তিনি আরও বলেন, চার শ্রেণির লোককে আল্লাহ তায়ালা এ রাত্রিতে ক্ষমা করেন না। ১. শরাবখোর ২. মাতা-পিতার অবাধ্যচারী নাফরমান ৩. আত্মীয়ের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদকারী ৪. অপরের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ ও শত্রুতা পোষণকারী। (আততারগীব ২য় খণ্ড)।

এই রাতের শ্রেষ্ঠ দোয়া হলো ক্ষমা চাওয়ার দোয়া। হাদীস শরীফে আছে হযরত আয়েশা (রা.) মহানবী (সা.) জিজ্ঞাসা করেছিলেন, যদি আমি বুঝতে পারি শবে কদর কোন রাত, তাহলে ওই রাতে আমি কি বলব? আল্লাহর কাছে কি চাইব? উত্তরে মহানবী (সা.) বলেন, তুমি বলবে, ‘আল্লাহুমা ইন্নাকা, আফুউন তুহেববুল আফওয়া, ফায়াফু আন্নি (‘‘হে আল্লাহ তুমি বড়ই ক্ষমাশীল। ক্ষমা করতে তুমি ভালোবাস, তাই আমাকে ক্ষমা করে দাও।) কেউ যদি জীবনে অনেক কিছু পায় কিন্তু ক্ষমা না পায়, তাহলে তার জীবন ব্যর্থ।

রাতটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান।

পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে আগামীকাল শুক্রবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদে দিন ও রাতব্যাপী ওয়াজ মাহফিল, ধর্মীয় বয়ান ও আখেরি মোনাজাতের আয়োজন করা হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনি দাওয়াত বিভাগের পরিচালক মো. মোজাহারুল মান্নান বলেন, পবিত্র শবেকদর উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বৃহস্পতিবার বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে শবেকদরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল এবং বাদ মাগরেব (ইফতারের পরে) পবিত্র শবেকদরের প্রাক বয়ান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। রাত ১১টায় মহিলা ও পুরুষদের জন্য পৃথক ব্যবস্থায় ‘শবে কদরের ফজিলত ও করণীয়’ শীর্ষক তাফসিরুল মাহফিল অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ওয়াজ মাহফিল, মিলাদ, কিয়াম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন থাকবে।

ঢাকাটাইমস/২২জুন/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

ইসলাম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :