তারকার উৎসব-৪
উৎসবে দেশি শাড়িতে পূজা
বাংলাদেশে উৎসবের শেষ নেই। এর কোনোটার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ধর্মীয় আবেগ। ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতিও জড়িয়ে আছে অনেক উৎসবের সঙ্গে। তবে সব উৎসবই আজকাল সর্বজনীন রূপ নেয়। সব দলের, সব মতের মানুষকে একই মোহনায় নিয়ে আসে উৎসব-আয়োজন। সবাই মিলে আনন্দ করতে না পারলেও আমাদের উৎসব যেন পূূর্ণতা পায় না। এমন দিনগুলোয় সাজে-পোশাকে-খাবারে থাকে বিশেষ রুচির ছাপ। বিনোদনেও থাকে বিশেষত্ব। নানা আয়োজন থাকে টিভিতে। তারকারা কিভাবে কাটান উৎসবের দিন? তারা কী পরেন, কী করেন? শৈশবে কী করতেন? জানিয়েছেন নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার পূজা সেনগুপ্ত।
অসাম্প্রদায়িক উৎসবে পরিণত হওয়া ঈদের আনন্দ তাকেও ছুঁয়ে যায়। ছোটবেলা থেকেই ঈদের সময় অনেক বাসা থেকে দাওয়াত পেতেন। বাবা-মায়ের সঙ্গে তাতে যাওয়া হতো। ছোটবেলায় বাবা-মা পূজার মতো ঈদেও নতুন জামা কিনে দিতেন। এখনো চাঁদ রাতে ছাদে আড্ডা দেন পূজা। উৎসবের পোশাক বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বছরজুড়ে প্রোগ্রাম থাকায় অনেক নতুন জামা কেনা হয়। তবে উৎসবে দেশীয় শাড়িতেই আগ্রহ বেশি থাকে। ঈদের চেয়ে ইফতার নিয়ে একটা স্মৃতি খুব মনে পড়ে।
পড়াশোনার জন্য কলকাতায় থাকাকালীন রোজার মাসে বাংলাদেশের মতো ইফতার কোথায় পাওয়া যাবে, সেই জায়গাগুলো আমরা কয়েকজন খুঁজে বেড়াতাম। ওখানেও একটা নিউমার্কেট আছে। আর সেটার পেছনে চাঁদনী চক নামে জায়গায় হুবহু বাংলাদেশের মতো ইফতার পাওয়া যেত। সেখানে গিয়ে ইফতার খেয়ে আসতাম। আর পূজায় তো ৩০টারও বেশি জামা উপহার পেতাম। খুব ছোটবেলায় উপহার পেলেও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় সবাই টাকা দিয়ে দিতেন এবং নিজের পছন্দেই সব উৎসবের জন্য পোশাক কিনতাম।
রামকৃষ্ণ মিশনের খুব কাছে বাসা থাকার কারণে প্রায়ই সেখানে যাওয়া হতো। সেখানে দুপুরবেলায় অনেক মজার মজার খাবার থাকত। ঠাকুরমা সেখানে নিয়ে যেতেন কিন্তু মহারাজাদের কাছ থেকে মিষ্টি খাওয়া মানা ছিল। কিন্তু আমার নজর সেদিকেই থাকত বেশি। এই ব্যাপারটা খুব উপভোগ করতাম। উপবাস, অঞ্জলী, নানারকম অনুষ্ঠান আর হৈ হুল্লোড়ে কেটে যেত পূজার চারদিন। এখন পরিবারকে খুব কম সময় দেওয়া হয়। পূজার দিনগুলোতে দুই রকম সময় দিতে হয়। সকালে পূজা আর বিকেলে ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানের সময় দিতে হয়। তবে এখন পূজাম-প ভালোভাবে সাজানোর পাশাপাশি প্রফেশনাল শিল্পীদের দিয়ে গান গাওয়ানো হয়। চারদিনের পূজায় প্রায় তিনদিনই এই আয়োজন চলতে থাকে। এই পরিবর্তনটা বেশ ভালো লাগে।’