ঝুঁকি নিয়ে চড়া ভাড়ায় ঘরমুখো শ্রমিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস (সাভার)
 | প্রকাশিত : ২২ জুন ২০১৭, ১৮:২০

শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ার কারখানাগুলো ছুটি ঘোষণার পর থেকে ঈদে ঘরমুখো শ্রমিকদের ট্রাক ও বাসের ছাদে ঝুঁকি নিয়ে নিজ গন্তব্যে যাত্রা করতে দেখা গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই যাত্রায়ও তাদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে বাড়তি ভাড়া পরিশোধে বাধ্য হচ্ছেন তারা। পাশাপাশি বাসের কাউন্টারগুলোতেও দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ শ্রমিক ও সাধারণ যাত্রীদের।

বৃহস্পতিবার শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলো ছুটির পর থেকেই ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে গাড়ির সংখ্যা বাড়তে থাকে। এসময় দল বেঁধে ব্যাগ হাতে শ্রমিকদের ছুটতে দেখা যায় গাড়ির জন্য। এদের অনেকেই দ্বিগুণ ভাড়ায় বেছে নিয়েছে ট্রাক, কেউ বাসের ছাদ ও কেউবা পিকআপের মতো পরিবহনকে।

আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিক যাত্রীদের ট্রাকে উঠতে দেখা গেছে। এজন্য ট্রাকের ভাড়া দিতে হয়েছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। বাইপাইল থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছেন পারভীন আক্তার নামে এক গার্মেন্ট শ্রমিক।তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘দ্যাশের বাইত আব্বা-আম্মা আর ছোট ভাই-বোন আছে। হ্যাগো লগে ঈদ করমু তাই যাইতাছি। যত কষ্টই হোক তারপরও যাইতেই অইবো। আর ঐ আনন্দের পাশে এই কষ্ট কিছুই নয়।’

অপরদিকে সাভারের হেমায়েতপুর, বাজার বাসস্ট্যান্ড, আশুলিয়ার নবীনগর, বাইপাইল, শ্রীপুর ও জিরানী এলাকার বাসের কাউন্টারগুলোতে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

আরাফাত হোসেন নামে এক শ্রমিক ঢাকাটাইমসকে জানান, নবীনগর থেকে নওগাঁর যাওয়ার জন্য ডিপজল পরিবহনের সাড়ে চারশ টাকার টিকেট কিনেছেন সাড়ে সাতশ টাকায়। তিনি বলেন, ‘আসলে আমরা অসহায়। আমাদের বাড়ি যেতেই হবে। তাই বাসের কাউন্টারগুলোতে এই সুযোগে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে। যা দেখার কেউ নেই। মহাসড়কের পাশে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এবিষয়ে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।’

এদিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে দায়িত্বরত কমিউনিটি পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। তারা জানান, বাইপাইল থেকে কোনো পরিবহন ছাড়লেই কমিউনিটি পুলিশ সদস্যদের অতিরিক্ত ২০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। তা না হলে তারা স্টপেজে গাড়ি দাঁড় করাতে দিচ্ছেন না।

এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম ঢাকাটাইমসকে জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে ঢাকা জেলা পুলিশ সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ঢাকা জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশের কয়েকশ সদস্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে এদের মধ্যে গুটিকয়েক যারা চাঁদা আদায়ের মতো নোংরা কাজে লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২২জুন/আইআই/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :