বসুন্ধরায় লাখ টাকার লেহেঙ্গা, নেই ক্রেতা

নজরুল ইসলাম, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ জুন ২০১৭, ০৮:৩৭

রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির শাড়ি মিউজিয়াম। দোকানটি শাড়ি লেহেঙ্গায় ঠাসা, অথচ ক্রেতাশূন্য। অলস সময় পার করছেন মালিক ও কর্মচারীরা। ইনচার্জ আরমানের কাছে জানতে চাওয়া হয় তার দোকানে সর্বোচ্চ কত টাকা দামের শাড়ি বা লেহেঙ্গা উঠানো হয়েছে। আরমান মলিন মুখে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমাদের দোকানে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার লেহেঙ্গা আছে। এর নাম ‘দিল্লির বুটিকস’। লেহেঙ্গাটি তিন পার্টের। রিয়েল স্টোন, জাজরজি ও কপার এনটিস্কের কাজ আছে এতে।’

‘দিল্লির বুটিকস’ নাম শুনেই বোঝা যায় এটি ভারতের লেহেঙ্গা। গাঢ় লাল রংয়ের পুরো লেহেঙ্গাটি জুড়েই হাতের কাজ। গাঢ় লাল সোনালী রঙয়ের ফুলগুলো বাড়তি রূপ দিয়েছে জমিনজুড়ে। লেহেঙ্গার নিম্নভাগে (পাড়) নকশার কারিশমা আরও বেশি। ঠিক ওড়নাতেও তাই। আর এ নকশাই এর বিশেষত্ব দাঁড় করিয়েছে।

ঈদের আর মাত্র দুই তিনদিন বাকি। ক্রেতাদের কেনাকাটাও শেষ পর্যায়ে। ঈদের আগে ‘দিল্লির বুটিকস’ বিক্রি হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে আরমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আশা করছি না বিক্রি হবে। একটা আশা করলাম সেটাতো মিস, পরের আশার জন্য বসে থাকবো।’

যেসব ব্যবসায়ী দামি কাপড় বিক্রি করতে ব্যর্থ হয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই দ্বিতীয় আশায় বসে আছেন। এই দ্বিতীয় আশাটা হচ্ছে ইয়ে, মানে বিয়ে। সাধারণত ঈদের পরে বিয়ের ধুম লেগে যায়। অনেক ক্রেতা তখন নিজেকে সাজাতে দামি কাপড় খোঁজেন। আর সেই সময়ে দামি কাপড়গুলো বিক্রি করতে পারবেন এমনটাই প্রত্যশা ব্যবসায়ীদের।

আরমানের দোকান মাড়িয়ে নামকরা কয়েকটি দোকানে গিয়েও পাওয়া যায়নি দামি শাড়ি কিংবা লেহেঙ্গা। ‘দ্য টেসলস্ শাড়ি’তে গিয়ে পাওয়া গেল লাখ টাকা থেকে সামান্য কম দামের ‘সুলতান সুলেমান’ ও ‘ঝারকান লেহেঙ্গা’। যেগুলোর দাম হাঁকানো হচ্ছে ৮৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা।

জনপ্রিয় সিরিয়াল সুলতান সুলেমানের গড়নে বানানো হয় ‘সুলতান সু্লেমান’ লেহেঙ্গা। রিয়েল ঝারকানের কাজে ঠাসা। পুরো লেহেঙ্গা জুড়েই হাতের কাজ। তিন পার্টের এই লেহেঙ্গায় রয়েছে টপস, দোপাট্টা ও লেহেঙ্গা গেট। গাড় লাল রঙ-এর লতানো ফুল ও পাতাগুলো বাড়তি রূপ দিয়েছে জমিনজুড়ে।

‘ঝারকান লেহেঙ্গা’টি আনা হয়েছে ভারতের দিল্লি থেকে। বিশেষত্ব হচ্ছে পুরো লেহেঙ্গা দেখতে ডায়মন্ডের মতো। ঝারকান স্টোনের কাজ। তিন পার্টের এই লেহেঙ্গায় রয়েছে টপস দোপাট্টা ও লেহেঙ্গা গেট। এটি দূর থেকে খুব বেশি আকর্ষণ করে।

বিক্রি করতে পারবেন এমন প্রশ্নের জবাবে দ্য টেসলস্ শাড়ি’জের কর্ণধার সিয়াম সজীব ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘কাস্টমার যদি আসে, তবে বিক্রি করতে পারবো। এছাড়া কিছুই বলার নাই। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত বিক্রি হয়নি। এবার এত খারাপ যাবে ভাবিও নাই।’

কেন এমন হলো-এমন প্রশ্নের জবাবে সিয়াম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সব কাস্টমার ইন্ডিয়া চলে যাচ্ছে। ভিসা পাওয়া খুবই সহজ। এতে করে আমাদের দেশের ব্যবসা আরেক দেশে চলে গেছে। কলকাতায় থাকার জায়গা দিতে পারছে না, এত বাংলাদেশি শপিং করতে গেছে।’

রাজধানীর শপিং মলগুলোতে ক্রেতার সংকট নেই। মানুষের ভিড়ে শপিং মলগুলোতে ঢোকাই দায়। তবে ক্রেতা নেই শাড়ির দোকানে। এই সময়ে যেখানে ক্রেতারা শাড়ির ভাঁজ খুলে ক্রেতাদের দেখাতে ব্যস্ত থাকবেন, সেই সময় হাত গুটিয়ে বসে আছেন।

ভারতীয় ভিসা পেতে ই-টোকেন পদ্ধতি উঠিয়ে দেয়া হয় পয়লা জানুয়ারি ২০১৬ থেকে। এতে ভারত যাওয়া খুব সহজ হয়ে যায়। ফলে ক্রেতারা ভারতে গিয়ে ঈদ শপিংয়ে ব্যস্ত। এত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দেশীয় বিক্রেতারা।

(ঢাকাটাইমস/২৩জুন/এনআই/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজধানী এর সর্বশেষ

কামরাঙ্গীরচর নাগরিক পরিষদ প্রতিনিধিদের সঙ্গে মেয়র তাপসের মতবিনিময়

মতিঝিলের ফুটপাতে পড়েছিল বৃদ্ধার মরদেহ

মিরপুর বিআরটিএ’তে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ৪ দালালকে সাজা

খিলক্ষেতে ৬০ কোটি টাকার খাসজমি উদ্ধার

রাজারবাগের পুকুরে ডুবে পুলিশ সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু, ধরা পড়ল সিসি ক্যামেরায়

চার নারী একসঙ্গে ওয়াশরুমে! সেই রাতে গুলশানে কী হয়েছিল, জানালেন ভুক্তভোগী

রাজধানীতে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নারীর আত্মহত্যা

সংসদ এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে আটক সাবেক এমপিপুত্র, ছাড়া পেলেন মুচলেকায়

গুলশানে ‘মাতাল’ হয়ে মারামারিতে জড়ানো তিন তরুণী গ্রেপ্তার, বারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা

ভাষানটেকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: মা ও স্ত্রীর পর না ফেরার দেশে লিটনও

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :