দিনাজপুরে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

শাহ্ আলম শাহী,স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর থেকে
| আপডেট : ২৩ জুন ২০১৭, ০৯:০৪ | প্রকাশিত : ২৩ জুন ২০১৭, ০৯:০২

দিনাজপুরে শেষ মূহুর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। দিনে রাতে শপিং মল ও সুপার মার্কেটগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফুটপাতেও চলছে ঈদের কেনাকাটা। জেলা শহরের মার্কেগুলোতে এবার মেঘাটু, কারিনা, মনটেক্স, নাতাশা, প্লাজো, ফ্লোরটাচ, সাউথ কাতান, জর্জেট কাতান, বেনারসি শাড়ি- থ্রিপিস এবং পাঞ্জাবির চাহিদা বেড়েছে। তবে গরমের কারণে সুতির কাপড়ের চাহিদা এবার বেশি।

সকাল ১০টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শহরের গুলসান মার্কেট, লুৎফুননেছা টাওয়ার, বেগম প্লাজা, রহিম সুপার মার্কেট, জাবেদ সুপার মার্কেট এবং গ্রিন সুপার মার্কেটগুলোতে চলছে কেনাবেচা। পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকায় রাজশাহী সিল্ক, সাড়ে সাত হাজার টাকায় সাউথ কাতান, ছয় হাজার টাকায় জর্জেট কাতান, সাত হাজারে মোহিনী মোহন কাঞ্জিলাল শাড়ি বিক্রি হচ্ছে। দুই থেকে চার হাজার টাকায় শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। তবে দেশি কাপড় ভারতীয় কাপড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জায়গা করে নিয়েছে।

এবার নাতাশা, বাহুবলী, মেঘাটু, ফ্লোর টাচ, লেহেঙ্গা সবার নজর কেড়েছে। দাম হাতের নাগালে হওয়ায় ক্রেতারাও খুশি।এবার ঈদে দিনাজপুরের বিপণি বিতানগুলোতে বিদেশি কাপড়ের পাশাপাশি দেশি পোশাকগুলো উঠতি বয়সের তরুণ তরুণীদের নজর কেড়েছে। এবার বেচাবিক্রি নিয়ে খুশি বিক্রেতারাও।

জেলা শহরের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা রথখলা, বড়বাজার, তেরিপট্টি ও গৌরাঙ্গবাজারের বিপণি বিতানগুলোতে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে কেনা-বেচা। মার্কেটগুলোতে দেশি পোশাকের পাশাপাশি ভারতীয় পোশাকের কেনাবেচা চোখে পড়ার মতো। শাড়িসহ রেডিমেড পোশাক কেনার জন্য ছোট বড় সব মার্কেটেই ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। রমজানের প্রথম দিকে দোকানে বেচাকেনা কম থাকলেও বর্তমানে ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেশি।

নিম্ন আয়ের ক্রেতারা ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভীড় জমাচ্ছে বেশি। কসমেটিকস ও স্টেশনারি দোকানেও ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। গত বছরের তুলনায় পোশাকের দাম এবার খুব একটা না বাড়ায় সন্তুষ্ট ক্রেতারা।

বিক্রেতারা জানান, এবার দেশি পোশাকের পাশাপাশি ভারতীয় পোশাক বিক্রি হচ্ছে সমানতালে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২৩জুন/প্রতিনিধি/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :