কাঁঠালবাড়ী-কাওড়াকান্দি ঘাটে যাত্রীদের ঢল

ইমতিয়াজ আহমেদ, শিবচর (মাদারীপুর)
 | প্রকাশিত : ২৩ জুন ২০১৭, ২১:১৬

ঈদের ছুটি শুরু হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই। রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে বেশির ভাগ মানুষ। নাড়ীর টানে বছরের দুই ঈদেই মূলত দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে হলেও বাড়ি ফেরে সাধারণ মানুষ। বাস-লঞ্চ-ট্রেনে কোন মতে নিজের একটু জায়গা করে নিতে পারলেই হলো! বাড়ি ফেরা চাই-ই চাই।

রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগের অন্যতম রুট মাদারীপুর জেলার শিবচরের কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুট। কাওড়াকান্দি থেকে ঘাট স্থানান্তর করে কাঁঠালবাড়ীতে নিয়ে যাওয়ায় এই নৌরুটের দূরত্ব কমেছে প্রায় ৬ কিলোমিটার। পদ্মা পার হতে এখন আগের চেয়ে সময়ও কম লাগছে। ফলে ইদানিং এই রুট যাত্রীদের ব্যবহারও বেড়েছে অনেক।

আর তাই ঈদকে সামনে রেখে শুক্রবার সকাল থেকেই দেখা গেছে, যাত্রীদের ঢল নেমেছে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে। লঞ্চ-স্পিডবোট ও ফেরিতে উপচেপড়া ভিড় যাত্রীদের।

এদিকে ঘাট এলাকায় যানজট নিরসন ও যাত্রীদের চাপ কমিয়ে দুর্ভোগ কমাতে পূর্বের কাওড়াকান্দি ঘাটও শুধু ঈদ মৌসুমের জন্য চালু রেখেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে দুই ঘাট দিয়েই যাত্রীরা ফিরতে পারছে নিজ নিজ গন্তব্যে। আর এতে করে সড়কজুড়ে যানজট আর ভোগান্তি কমেছে বলে জানা গেছে।

যাত্রীদের নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে প্রশাসন কাঁঠালবাড়ী ঘাটের সাথে চালু রেখেছে কাওড়াকান্দি ঘাটও। কাওড়াকান্দি ঘাটে শুধুমাত্র পরিবহনের যাত্রীপারাপারের লঞ্চ থাকছে। দূরপাল্লার পরিবহন যেগুলোর যাত্রীদের লঞ্চযোগে পার করা হয়, সেই যাত্রীরা শিমুলিয়া থেকে কাওড়াকান্দি পারাপার হচ্ছে। আর লোকাল বাসের যাত্রীরা কাঁঠালবাড়ী ঘাটের মাধ্যমে পারাপার হচ্ছে। এসকল পরিবহনও কাঁঠালবাড়ী ঘাটের পরিবর্তে কাওড়াকান্দি ঘাটে অবস্থান করছে। ফলে ঘাট এলাকায় পরিবহনের চাপও কিছুটা কম বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে ঘাট এলাকায় যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে। শুক্রবার সকাল থেকে যাত্রীদের পরিমাণ বেড়ে যায় এই ঘাটে। কাঁঠালবাড়ী ঘাটের আয়তন বড় থাকায় ঘাট এলাকায় তেমন সমস্যা হচ্ছে না যাত্রীদের। নিরাপত্তার জন্য স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। আর যাত্রীসেবার জন্য অতিরিক্ত একটি ফেরিও যোগ করা হয়েছে এ নৌরুটে। বর্তমানে ১৭টি ফেরি, ৮৭টি লঞ্চ ও ২শতাধিক স্পিডবোট চলছে এই রুটে।

বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, বর্তমান সময়টা দুর্যোগপ্রবণ। যে কোন সময় আকাশে মেঘ করে বৃষ্টি-বাতাস শুরু হতে পারে। এই বর্ষা মৌসুমে আবহাওয়া বৈরি হলে সাধারণ যাত্রীদের পারাপারের জন্য আমাদের ফেরি সার্ভিস ব্যবহৃত হবে। নতুন একটি ফেরিও আনা হয়েছে এই রুটে। সবমিলিয়ে যাত্রীরা শান্তিপূর্ণভাবেই বাড়ি ফিরতে পারবে বলে আশা করছি।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ জানান, যাত্রীরা যাতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি না হয়, সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রচুর সদস্য ঘাট এলাকা দায়িত্ব পালন করছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক টিমও সার্বক্ষণিক রয়েছে ঘাটে।

(ঢাকাটাইমস/২৩জুন/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :