অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও বাদুড়ঝোলা যাত্রী
ময়মনসিংহে বিভিন্ন রুটে ঈদ বকশিশের নামে বাস মালিক শ্রমিক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা ড্রাইভারদের ইচ্ছে মাফিক ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ময়মনসিংহ-ঢাকা, ময়মনসিংহ-জামালপুর, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ-শেরপুর, ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়কে বাস ও বিভাগের অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে সিএনজির বেপরোয়া ভাড়া আদায়ের কারণে নাজেহাল হচ্ছেন মানুষজন।
ঈদে বাড়ি ফিরতে গিয়ে বাস ও সিএনজির ৩- ৪ গুণ ভাড়া আদায়ের কারণে নাকাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
ময়মনসিংহ টু হালুয়াঘাট ৫০ টাকার বাস ভাড়া আদায় করা হয়েছে ৩শ টাকা থেকে ৪শ টাকা। ময়মনসিংহ টু মুক্তাগাছা ২৫ টাকা সিএনজি ভাড়ার স্থলে আদায় করা হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত।
সেই সুযোগে চড়া ভাড়া হেঁকেছে ছোট গাড়ি ব্যাটারিচালিত অটো আর নসিমন, করিমনও। যদিও রাস্তায় দুর্ভোগেপড়া যাত্রীদের অভিজ্ঞতার সঙ্গে তাদের দাবি মিলছে না। অতিরিক্ত ভাড়া দেয়ার পরও বাসগুলোতে বাদুড়ঝোলা ভিড়।
শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ শহরের পাটগুদাম বাসস্ট্যান্ড লোকে লোকারণ্য। কোন বাসই দাঁড়িয়ে নেই। তারপরও বাস বা গাড়ির জন্য হন্যে হয়ে কিছু যাত্রী ইতস্তত ঘুরে বেড়িয়েছেন। সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।
ময়মনসিংহ শহরের বাসিন্দা সাবিনা ইয়াসমিন যাবেন নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জ। ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, ‘একটাও বাস, গাড়ির সিট খালি পাচ্ছি না।’
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে বাড়িতে গিয়ে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন নান্দাইল উপজেলার বাসিন্দা বাবুল মিয়া। একইভাবে আত্মীয় বাড়ি যাওয়ার জন্য বেরিয়ে সমস্যায় পড়েন তারাকান্দা উপজেলার সোবহান। বললেন, ‘বাড়িতে যাওয়ার ছিল। বাস আছে সিট নেই। অগত্যা সিএনজিই ভরসা। এখন সিএনজি ড্রাইভার ভাড়া হাঁকছে ৪গুণ।’
শহরের কেন্দ্রীয় টার্মিনাল মাসকান্দা থেকে ছেড়েছে অনেক বাস। লোকাল যাত্রী নিতে চায় না। ফলে, ছোট গাড়িতে বেশি ভাড়া দিয়েই যাতায়াত করেছেন বহু যাত্রী। ত্রিশালের কাছাকাছি এলাকায় যেতে ছোট গাড়িতে বেশি ভাড়া গুণতে হয়েছে যাত্রীদের। তবে, ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
ময়মনসিংহ জেলার সকল সড়কেই ঈদের মুখে অতিরিক্ত ভাড়া মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের।
বাস ও সিএনজি মালিক শ্রমিকরা বলছে, ‘আমরা আগেই জানিয়েছিলাম, ঈদে ভাড়া বাড়াবো না। তারপরও আমাদের দেয়া কথা রাখতে পারছি না কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে।
যাত্রীরা বলছেন, ওটা ছিলো ওদের কথার কথা। ঈদ উপলক্ষে ভাড়া বাড়ানোর পরিকল্পনা ওরা আগেই ঠিকঠাক করে রেখেছিল।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারপরও চলছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়।
(ঢাকাটাইমস/২৪জুন/ব্যুরো প্রধান/এলএ)