মির্জাপুরে সালেহার পলিথিনের ঘর

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
| আপডেট : ২৫ জুন ২০১৭, ১০:৪৫ | প্রকাশিত : ২৫ জুন ২০১৭, ০৮:৩০

রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ের মধ্যেও গত ১০ বছর ধরে গাছতলায় পলিথিনের নিচে বাস করছেন সালেহা বেগম। মির্জাপুর উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের নবগ্রামের লৌহজং নদীর তীরে তিন শিশু সন্তান নিয়ে তার এই কোনো রকমে বেঁচে থাকার চেষ্টা চোখে ধরা পড়ে।

সালেহা নবগ্রাম গ্রামের মৃত তাজু মিয়ার মেয়ে। বছর পনের আগে পাশের গ্রামের মোস্তফার সঙ্গে বিয়ে হয় সালেহার। বিয়ের তিন বছরের মাথায় এক ছেলে লাবলু ও মেয়ে আয়েশাকে রেখে দিনমুজুর স্বামী মারা যান।

এরপর স্বামীর বাড়িতে আশ্রয় না হওয়ায় দুই সন্তান নিয়ে সালেহা ফিরে আসেন বাবার বাড়ি। কিন্ত বাবাও মারা গেছেন। বাবা ও স্বামীর মৃত্যুর পর পারিপার্শিক অবস্থার কিছুটা অপকৃতস্থ’ হয়ে পড়েন সালেহা। পরে উপায়ন্ত না পেয়ে এভাবে পলিথিনের বাসা তৈরি করেন তিনি।

শনিবার মির্জাপুর উপজেলা সদর থেকে আনুমানিক ১৫ কিলোমিটার দূরে লৌহজং নদী পার হয়ে নবগ্রাম গ্রামে গিয়ে জানা গেল সালেহার করুণ পরিণতির কথা। তিনি জানান, পাঁচ সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে লাবলু এলাকারই এক ধনাঢ্য গৃহস্থের বাড়িতে কাজ করে এবং মেয়ে খালার বাড়িতে থাকে। প্রতিদিনই ওই রাস্তা দিয়ে শতশত মানুষ চলাচল করলেও কেউ সালেহার কাছে গিয়ে তার খবর নেয় না। নবগ্রাম গ্রামের বাসিন্দা শামসুল আলম বলেন, ‘গত প্রায় ১০ বছর ধরে আমরা তাকে এভাবেই বসবাস করতে দেখে আসছি।’

এ ব্যাপারে উয়ার্শী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম মল্লিক বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে অচিরেই সালেহাকে একটি ঘর তৈরি করে দেয়া হবে।’ তার খাবার দাবারের ব্যবস্থা প্রায় সময়ই করা হয়ে থাকে বলেও দাবি করেন চেয়ারম্যান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাদ সাদমীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি সালেহার আশ্রয়স্থলে গিয়েছি এবং আর্থিক সহায়তা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে তার জন্য একটি ঘর তৈরি করে দেয়ার জন্য বলেছি।

ঢাকাটাইমস/২৫জুন/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :