হাতিরঝিলে ঈদ আনন্দে ভাসছে নগরবাসী

আউয়াল খাঁন, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ জুন ২০১৭, ১৯:৩৬

সকালে ঈদের নামাজ আদায়ের পর অনেকটা বাসায় কেটেছে নগরবাসীর জীবন। দুপুর গড়িয়ে যাওয়ার পরেই নগরবাসী ফাঁকা ঢাকায় ঘুরতে বের হয়। হাতে প্রচুর সময়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মানুষ বের হয়েছে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। রমনা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, কার্জন হল, ধানমন্ডি ও গুলশান লেকে ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। সন্ধ্যার দিকে এই সংখ্যা আরও বাড়তে থাকে। রাজধানীর অন্যরকম বিনোদন কেন্দ্র ও ঢাকার ফুসফুস হিসেবে পরিচিত হাতিরঝিলেও দর্শনার্থীদের ভিড় কোনো অংশেই কম নেই। বিকালের দিকে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে হাতিরঝিল এলাকা।

মূলত দুপুর গড়ানোর পরই লোকজন আসতে শুরু করে হাতিরঝিলে। রামপুরা এলাকা থেকে শুরু করে গুলশান, তেজগাঁও ও সোনারগাঁও সব জায়গাতেই ছিল মানুষের কোলাহল। বিকালের দিকে মানুষের সমাগম আরও বাড়তে থাকে এবং সন্ধ্যা নাগাদ মানুষের কোলাহলে মুখর হয়ে ওঠে ঢাকার অন্যতম দৃষ্টিনন্দন এই জায়গাটি। ছেলে-বুড়ো, তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে স্ত্রী/স্বামী-সন্তানদের কেউই বাদ যাচ্ছেন না আনন্দ ভাগাভাগিতে।

ঘুরতে আসা অনেকে ঝিলপাড়ে বসে বাদাম-বুট খেতে খেতে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন। আবার অনেক ব্রিজের ওপর রেলিংয়ে হেলান দিয়ে আপন মনে শীতল বাতাসে গাঁ ভাসিয়ে দিচ্ছেন। অনেকে ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে বিকালের ধুসর সূর্যের আলোতে ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিলেন।

ওপরের ব্রিজ থেকে নিচে এসে দেখা গেল, রেলিং ধরে লেকের দিকে তাকিয়ে গল্প করছেন অনেক তরুণ তরুণী। ছোট্ট শিশুরা রেলিংয়ের ফাঁক গলে তাকিয়ে দেখছে পানির নড়াচড়া।

দীর্ঘ লাইনের ভোগা‌ন্তি থাকা সত্ত্বেও হাতিরঝিলের মগবাজার অংশ থেকে রামপুরা বা গুলশান অংশ পর্যন্ত ওয়াটার ট্যাক্সিতে চড়ে বসছেন অনেকে। আবার কেউবা দর্শনার্থীদের জন্য বরাদ্দ রাখা পায়ের প্যাডেলচালিত ছোট বোটে বসে নিজেই ঢাকার মধ্যে মাঝি হওয়ার চেষ্টা করছেন। লেকের পাড়ে বসে জম্পেশ আড্ডা দিতে দেখা গেল বেশ কয়েকটি প্রেমিক যুগল ও বন্ধু জুটিকে।

কথা হয় হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা তরুণ শরীফুল আহসানের সঙ্গে। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘হাতিরঝিল আমার কাছে ভাল লাগে। পানি নষ্ট হলেও পরিবেশটা সুন্দর। তাই জিএফরে (গার্ল ফ্রেন্ড) নিয়া ঘুরতে আসলাম।’

বিকালে হাতিরঝিলে বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন আরাফাত। শত ব্যস্ততার পরেও ঈদের আনন্দটাকে হেলায় নষ্ট করতে চান না তিনি। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘কয়েকমাস আগে কোনো একটা বিষয় নিয়া বন্ধুর সঙ্গে ঝগড়া হয়। এতোদিন কথা বলি নাই। আজকে সরি বলে বন্ধুকে হাতিরঝিল নিয়া আইলাম। যে বন্ধুর সঙ্গে ছোট থেকে বড় হইলাম, একটা স্যরির জন্য ঈদটা নষ্ট করতে রাজি নই।’

নগরবাসীর আনন্দে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য হাতিরঝিলের প্রবেশ মুখে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গাড়ি তল্লাশি করতে দেখা গেছে। ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের অনেকটা স্বস্তিতেই থাকতে দেখা গেছে। মোটরসাইকেল বা কার রেসারদের উৎপাত না থাকায় দর্শনার্থীদের সময় কাটছে অনেকটা ফুরফুরে মেজাজেই।

ঢাকাটাইমস/২৬জুন/এএকে/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :