ঢাকা-৪: সাইফুল না রবিন?

বোরহান উদ্দিন, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ জুন ২০১৭, ০৮:৪১

সারা দেশের মতো রাজধানীতেও আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের আগাম প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে। এর সঙ্গে আছে কেন্দ্রের আস্থা নিজের দিকে আনার চেষ্টাও। নেতাকর্মীরা বলছেন, স্থানীয়ভাবে প্রভাব থাকলেও দলের হাইকমান্ডের নেকনজর না থাকলে রাজধানীতে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ কম।

তবে ঢাকা দক্ষিণের আসনগুলোর মধ্যে বেশ কিছু জায়গায় দলীয় মনোনয়ন পেতে স্থানীয় প্রভাবকে বিবেচনায় নেয়ার সম্ভাবনা দেখছেন আগ্রহী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। এমন আসনের একটি ঢাকা-৪।

শ্যামপুর-কদমতলী থানা নিয়ে গঠিত এই আসনে আগামী নির্বাচনে বিএনপির হয়ে লড়াই করতে পারেন এমন দুই নেতার নাম শোনা যাচ্ছে। তারা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শ্যামপুর থানার সাধারণ সম্পাদক আ ন ম সাইফুল ইসলাম এবং সাবেক এমপি সালাহউদ্দিন আহমদের ছেলে তানভির আহমেদ রবিন। সম্প্রতি ঘোষিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদেও আছেন রবিন।

জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে এই দুই নেতা প্রার্থী হওয়ার জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। দক্ষিণের নতুন কমিটিতে পদ পাওয়ার পর দুজন আরো বেশি চাঙা হয়েছেন। দলের কর্মসূচিতে তারা নিজ নিজ সমর্থকদের নিয়ে শোডাউন দিচ্ছেন। ঈদের আগে নির্বাচনী এলাকায় সাঁটিয়েছেন ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে রঙ-বেরঙের পোস্টার ফেস্টুন।

২০০৮ সালে এই আসন থেকে নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন মুন্সীগঞ্জের সাবেক এমপি আবদুল হাই। আগামী নির্বাচনে তিন আবার মুন্সীগঞ্জ থেকে নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে। তার এলাকায় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। তাই শ্যামপুর-কদমতলী আসন থেকে তার আর নির্বাচন করার সম্ভাবনা নেই।

এদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি সালাহউদ্দিন আহমেদও নির্বাচন করবেন এটা নিশ্চিত। তিনি ঢাকা-৫ থেকে নির্বাচন করতে চান বলে জানা গেছে। নিজের পাশের আসন থেকে ছেলে রবিনের মনোনয়ন নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন তিনি।

শ্যামপুরের ওয়ার্ড বিএনপির নেতা মো. শহিদুল ইসলাম চান আগামী নির্বাচনে রবিন মনোনয়ন পান। রবিনের এই সমর্থক ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এই আসনে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রবিন ভাই এগিয়ে আছেন। মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ পদেও আছেন তিনি। আমরা চাই তাকে মনোনয়ন দেয়া হোক। তিনি সেই অনুযায়ী কাজ করছেন।’

রবিন বর্তমানে কারাগারে আছেন। রোজার দুই দিন আগে এক বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। দলের চেয়ারপারসনের গুলশানের কার‌্যালয়ে পুলিশি তল্লাশির প্রতিবাদে দলের বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল সেটি।

দলের মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী নব্বইয়ের আগে থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সাইফুল ইসলাম। ওয়ার্ড ছাত্রদল থেকে শুরু, পরে থানা ছাত্রদলে কাজ করেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে জড়িত হন।

২০০৬ সালে বর্তমান ৫১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সাইফুল। ২০১২ সালে শ্যামপুর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সম্প্রতি ঘোষিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (২য়) নির্বাচিত হন তিনি।

ঢাকাটাইমসকে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ইনশাল্লাহ মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। সব সময় আন্দোলন কর্মসূচিতে থাকার চেষ্টা করেছি। যদি দল সুযোগ দেয়, সফল হতে পারব। সেই বিশ্বাস নিয়ে কাজ করছি।’

ওই আসনে নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনায় আরো আছে বিএনপির নেতা ও কদমতলী থানা বিএনপির সভাপতি মীর হোসেন মীরুর নামও। তবে অন্য ‍দুই নেতার তুলনায় তা কম। ওই এলাকার সাবেক কমিশনার মীরু নিজে অবশ্য নির্বাচন করতে আগ্রহী বলে জানা গেছে।

মীরুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কদমতলী থানা বিএনপির একজন নেতা ঢাকাটাইমসকে বলেন, রবিন, সাইফুলের মতো মীরু ভাইও নির্বাচন করতে আগ্রহী। যতটুকু সম্ভব প্রচার-প্রচারণাও চালাচ্ছেন। শেষ পর‌্যন্ত দল যা সিদ্ধান্ত নেয় তিনি তা মেনে নেবেন তার মনোভাবে এমনটাই বোঝা যায়।’

(ঢাকাটাইমস/২৭জুন/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :