ঈদের ছুটিতে গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র তীরে মানুষের ঢল
ঈদুল ফিতরের আনন্দ উপভোগ করতে গফরগাঁও ও আশপাশের উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ সময় কাটাতে ছুটে আসছে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর নির্মিত সেতুর দিকে। গফরগাঁও-হাজীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ সেতুটিকে ঘিরে সেখানে গড়ে উঠেছে পর্যটন স্পট।
সোমবার ঈদের বিকালে অন্তত ২০ হাজার দর্শণার্থীর পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে এলাকা। স্বজন আর বন্ধুদের দিয়ে প্রাকৃতিক অপরূপ দৃশ্য দেখে ক্লান্তি ঝেড়ে ঘরে ফিরেছেন তারা। এই সেতুটি নির্মাণের পর থেকে ঈদ বা অন্য বড় ছুটিতে এলাকায় বেশ কয়েকদিন এ রকম উপচে পড়া ভিড় থাকে।
গফরগাঁও উপজেলার কোন বিনোদন কেন্দ্র, শিশুপার্ক বা পর্যটনকেন্দ্র্র না থাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের উপর নির্মিত এই সেতুর চারপাশে এলাকাবাসী ঘুরে বেড়ায় মনের আনন্দে। নদীতে রয়েছে ছোট ছোট নৌকা। এসব নৌকা দিয়ে ঘুরে বেড়ায় দর্শণার্থীরা।
গফরগাঁও পৌর শহরের ইমামবাড়ি এলাকার বাসিন্ধা কলেজ ছাত্র আনোয়ারুল হক জানান, তারা ১০-১২ জন বন্ধু মিলে এখানে ঘুরতে এসেছেন। সেতুর চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্যে দেখে সবাই মুগ্ধ হয়েছে।
গফরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন বলেন, ‘ঈদের দিন থেকে ঈদের ছুটি পর্যন্ত লক্ষাধিক বিনোদনপ্রেমীর ভিড়ে পুরো সেতু এলাকা সকল সময় মুখর থাকবে।’ তিনি জানান, এই সেতুকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় বেশ কয়েকটি দোকান। সেসব দোকানেও চলছে ব্যাপক বেচাকেনা।
ঘুরতে আসা মানুষের রসনা বিলাসে গড়ে উঠেছে ভাসমান কয়েকটি হালিম, ফাস্টফুড, তেহারির দোকান। নদীর পাড়ে ভাসমান ফাস্ট ফুডের দোকানের মালিক আব্দুল আজিজ বলেন, ‘বিকাল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ৮-১০ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে।’
তবে হাজারো মানুষের সমাগম হলেও সেখানে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে উঠেনি। বিশেষ করে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় দর্শণার্থীদের।
শিক্ষক নেতা ইস্কান্দার রোজ রিভেল বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র নদের উপর নির্মিত সেতুকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পাবলিক টয়লেট, যাত্রী ছাউনি নির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’
সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এ সেতুটি নির্মাণ করেছে এলজিইডি। ৮১০ মিটার দৈর্ঘ্যরে এ সেতুটি এলজিইডি নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় সেতু।
গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর সড়ক ও জনপথ বিভাগ ২০০৫ সালে খুরশিদ মহল সেতু নামে অপর একটি সেতু নির্মাণ করে। এই সেতুর উপরেও প্রতিদিন শত শত দর্শণার্থী ভিড় করছে।
ঢাকাটাইমস/২৭জুন/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি