ঈদে ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্রে নৌবিহার
ঈদের দিন ময়মনসিংহের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় লেগেই ছিল। সকাল থেকেই দলবেঁধে বিভিন্ন বয়সের মানুষ ঘুরতে বের হয়। কেউ ব্রহ্মপুত্র নদের পানিতে নৌবিহার করেন। অনেকেই জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোতে ঈদ আনন্দে মেতে উঠেন।
ময়মনসিংহের পুরনো বাড়ি, ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত স্থাপনা দেখতে আর প্রকৃতির আকর্ষণে বার বার পর্যটকেরা ছুটে আসেন। এখানকার সৌন্দর্য বার বার দেখেও পুরনো মনে হয় না। তাই ঈদের ছুটিতে এসব স্থাপনা দেখার সুযোগ থেকে নিজেদেরকে বঞ্চিত করেন না কেউ।
স্থানীয়রা বললেন, ঈদের দিন থেকেই পর্যটকরা ঘুরতে বের হয়েছেন। ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা নিয়ে ঘুরছেন অনেকেই। মন ভোলানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে সব বয়সের নারী-পুরুষ এখানে ঘুরতে আসে।
শহরের জমিদারদের প্রতিষ্ঠিত ‘শশীলজ’। এখানে গ্রিক দেবী ভেনাসের অসাধারণ মূর্তি এবং তার চারপাশে ফুলের বাগান। মহারাজা শশীকান্তের স্মৃতিবিজড়িত দর্শনীয় স্থানটিতেও বেড়াতে এসেছেন অনেকেই । আলেকজান্দ্রা ক্যাসেল, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা, শিশু পার্ক, প্যারাডাইস পার্ক, জাদুঘর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, আনন্দমোহন কলেজ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ, টাউন হল সংলগ্ন সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্কয়ারেও মানুষের ভিড় লেগে ছিল।
জেলার গফরগাঁওয়ে ভাষা সৈনিক আব্দুল জব্বারে যাদুঘর, আলতাফ গোলন্দাজ সেতু, মুক্তাগাছায় ষোল হিস্যার জমিদার বাড়ি, রসুলপুর বন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পে শিশুপার্ক ধোবাউড়ার চীনা মাটির টিলা ও গৌরীপুরের রাজবাড়ি, রামগোপালপুর জমিদার বাড়ি, বীরাঙ্গণা সখীনার মাজার ও নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার মাজার, ফুলবাড়িয়ায় আলাদিন পার্ক, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মৃতি বিজড়িত আঠার বাড়ি জমিদারবাড়িসহ প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্রে বেড়াতে এসেছিল ভ্রমণপিপাসু মানুষ।
সকাল থেকেই এসব জায়গায় পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পর্যটক আর তাদের গাড়ির ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশের। তবে বিপুল পর্যটক সমাগমে হাসি ছিল স্থানীয় দোকানদার, হোটেল মালিক থেকে নৌকাচালকদের।
(ঢাকাটাইমস/২৭জুন/প্রতিনিধি/জেডএ)