শ্রম আইন সংস্কার করুন

মহিবুল ইজদানী খান ডাবলু
 | প্রকাশিত : ২৮ জুন ২০১৭, ১১:৪২

বর্তমান সরকারের আমল দেখতে দেখতে আট বছর পাঁচ মাস শেষ হয়েছে। সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের আর দেড় বছরের মতো বাকি। টানা দুইবারের প্রথম মেয়াদে পোশাক শিল্পে নিম্নতম শ্রমিক মজুরি বৃদ্ধি করে পাঁচ হাজার তিনশ টাকা করেছে, যা ওই সময় দেশ ও বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। তবে মালিকের আয়ের তুলনায় তা যথেষ্ট নয় বলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মনে করেন।

দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের দিকে সরকারের বিশেষভাবে নজর দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। দায়িত্বশীল মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কিছুই করেনি। পোশাক শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের উদ্যোগ প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। যার কারণে ধীরে ধীরে এই শিল্প অন্য দেশে চলে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে কয়েকটি দেশ তাদের অর্ডার আফ্রিকায় স্থানান্তর করেছে। এভাবে অন্যান্য বিদেশে বিনিয়োগকারীরা সুযোগ পেলে অন্য দেশে পাড়ি দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় দায়িত্বশীল মন্ত্রণালয়ের জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে মালিকপক্ষকে তাদের নিজস্ব আয় কমিয়ে কমমূল্যে বিদেশি অর্ডার ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। একইসঙ্গে শ্রমিকের মজুরি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। কাপড় সেলাইয়ের মান ও নিম্ন বিক্রয় মূল্যের কারণে এখনো বিদেশি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের প্রতি তাদের আগ্রহ বজায় রেখেছে।

পোশাক শিল্পকে রক্ষা করতে হলে সরকারের প্রথমেই উচিত হবে দেশের ট্রেড ইউনিয়ন রাজনীতিতে একটা আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসা। সামরিক বাহিনী সমর্থিত ফখরুদ্দিন আহমেদের অস্থায়ী সরকার অতীতে এ ব্যাপারে একটা বড় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছিল এবং কিছু কিছু পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছিল। তবে কোনো এক অজ্ঞাত কারণে মাঝপথে এসে সবকিছু থমকে দাঁড়ায়। বর্তমান সরকার ফখরুদ্দিন সরকারের ধারাবাহিকতাকে অনুসরণ করেনি। দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলেও ট্রেড ইউনিয়ন রাজনীতিতে পরিবর্তন আনার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।

মালিক কর্তৃক শ্রমিক শোষণ বন্ধ করতে হলে প্রয়োজন একটি শক্তিশালী ট্রেড ইউনিয়ন। প্রয়োজন শ্রম আইনের সংস্কার, প্রয়োজন রাজনৈতিক দল মুক্ত ট্রেড ইউনিয়ন। গুরুত্বপূর্ণ এই তিনটি বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা করতে দেখা যায়নি। দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর নিজ নিজ দলীয় স্বার্থ এখানে সরাসরিভাবে জড়িত বলেই হয়ত গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টিকে তারা এড়িয়ে যেতে চায়। অথচ এ ধরনের পরিবর্তন আনলে শ্রমিক মালিক এবং দেশের শিল্পক্ষেত্রে একটা যুগান্তকারী ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। তাই দেশে বিদেশে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সরকার পোশাক শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন ৫৩০০ টাকা নির্ধারণ করেছেন যা এর পূর্বে ছিল না। ফলে অতীতে মালিকরা শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে গাফিলতি করার সুযোগ পেয়েছে, যা এখন আর ততটা সম্ভব নয়। সুতরাং সরকারের সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। তবে ওই সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল সর্বনিম্ন বেতন আট হাজার টাকা কেন করা হলো না?

এই দীর্ঘ সময়ে দেশের বিভিন্ন জিনিসপত্রসহ বাড়ি ভাড়া বেড়েছেl অথচ পোশাক শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন এখনও ওই ৫৩০০ টাকাই রয়ে গেছে। অন্যদিকে সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন দ্বিগুণ করা হয়েছে। একজন পোশাক শ্রমিকের জন্য বর্তমান বাজারে ৫৩০০ টাকা পারিশ্রমিক যথেষ্ট হতে পারে না। ফলে তারা অতিরিক্ত কাজ (ওভার টাইম) করতে বাধ্য হয়।

অন্যদিকে চাকরি ক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তা যথেষ্ট নয়। শ্রমিকদের উল্লেখযোগ্যপূর্ণ কোনো বিশেষ সুযোগ সুবিধা নাই বললেই চলে। দৈনন্দিন কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, সন্ধ্যা বা রাতের কাজে বেতনের পরিমাণ বৃদ্ধি ও ছুটির দিনে কাজ করলে দ্বিগুণ বেতন-ইত্যাদি নিয়ম থাকলেও থাকতে পারে। তবে কোম্পানিগুলো তা কতটুকু মেনে চলে বা আদৌ অনুসরণ করে কি না, এ ব্যাপারে প্রশ্ন আসতে পারে। তাছাড়া শ্রমিকদের জীবনবিমা, পেনশন ভাতা, যাতায়াত ভাতা, দীর্ঘ মাতৃত্বকালীন ছুটি, চিকিৎসা ও বার্ষিক ছুটিসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পরিমাণমতো না পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এসকল ক্ষেত্রে ট্রেড ইউনিয়নগুলোর দুর্নীতি ও মালিক এবং সরকারের অবহেলা প্রধান কারণ বলে অনেকে মনে করেন।

বাংলাদেশের শিল্পনগরী সাভার, নারায়ণগঞ্জ, সৈয়দপুরসহ বিভিন্ন রপ্তানি উন্নয়ন অঞ্চলে অবস্থানরত শিল্প কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ বিদ্যমান। তবে এখানে শ্রমিক ইউনিয়ন নিষিদ্ধ রাখার কারণে শ্রমিকদের একত্রিত হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বা আন্দোলন করার কোনো সুযোগ নেই। তবুও অনেক সময় দেখা গেছে কারখানা থেকে বেরিয়ে এসে আশুলিয়া সড়কে অবস্থান করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ করতে। এই কারণে বিদেশিরা এসকল স্থানে ট্রেড ইউনিয়ন বৈধ করার দাবি জানিয়েছে।

এ ধরণের বিভিন্ন কারণের জন্য বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ থেকে পোশাক শিল্পকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে। এদিকে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার কারণে বাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত কয়েকটি সুইডিশ কোম্পানি তাদের স্থানীয় ক্রেতাদের সমালোচনার মুখে পড়েছে। এভাবে নির্যাতিত হয়ে যারা কাপড় সেলাই করছে তাদের কাপড় পরিধান করা অমানবিক বলে ক্রেতারা প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন মানবিক সংস্থা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে শোষণের অভিযোগ তুলে তাদের কাপড় বয়কট করার দাবিও জানিয়েছে।

বেশ আগে বর্তমান সরকারের আমলে বস্ত্র শিল্পে উন্নয়ন ও বিভিন্ন কাঠামো পরিবর্তনের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করার কথা শুনেছিলাম। এই কমিটির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে কোনো কিছু হলেও হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত তাদের কার্যকলাপের কোনো আলো জনগণের দৃষ্টিতে আসেনি। সরকারের এ ধরনের উদ্যোগকে ওই সময় সুইডিশ হিউমেন রাইটস ওয়াচ (সুয়েড ওয়াচ) পজেটিভ হিসেবে দেখেছিল। কিন্তু সেই কমিটির কোনো ফলাফল ভবিষ্যতে আদৌ দেখা যাবে কি না তা নিয়ে এখন সন্দেহ দেখা দিয়েছে। কমিটির পরামর্শে শ্রম আইনে কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসলেও আসতে পারে। তবে শোষিত শ্রমিকদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি। পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন সরকার ও দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে যত দ্রুত সম্ভব এ ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে। তা না হলে এই বাজার ধীরে ধীরে অন্যত্র চলে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।

যদিও সুয়েড ওয়াচের একজন মুখপাত্র স্থানীয় মিডিয়ায় বলেছেন, ‘বাংলাদেশে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধিসহ সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হলেও অন্যান্য দেশের তুলনায় খরচ ততটা বাড়বে না। এজন্য পোশাক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার কোনো প্রয়োজন হবে না। তাছাড়া বাংলাদেশের কারিগরদের এখন অনেক উন্নত মানে কাপড় সেলাইয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে যা অন্য দেশে প্রথম থেকেই শুরু করতে হবে। সুতরাং এখন সারা বিশ্বের চোখ দায়িত্বে থাকা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ওপর। এই শিল্পকে রক্ষা করতে হলে প্রয়োজন একটি শক্তিশালী ট্রেড ইউনিয়ন, শ্রম আইনের সংস্কার ও রাজনৈতিক দল মুক্ত ট্রেড ইউনিয়ন।

ট্রেড ইউনিয়নের কার্যধারাতেও পরিবর্তন আনা জরুরি হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে দেশের বর্তমান শ্রম নীতিমালার সংস্কার করা প্রয়োজন। নিয়ম অনুসারে বাংলাদেশের ট্রেড ইউনিয়ন রাজনীতিকে গণতান্ত্রিক ধারায় নিয়ে আসা উচিত। অন্যদিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল যাতে নিজেদের স্বার্থে শ্রমিক সংগঠনগুলোকে ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য শ্রমিক সংগঠনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে হবে। তাহলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সমর্থিত শ্রমিক সংগঠনগুলো শিল্প কারখানায় বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।

কারণ, বাংলাদেশের শ্রমিক সংগঠনগুলো শ্রমিক স্বার্থ রক্ষা না করে তাদের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত স্বার্থের লক্ষ্যে নানা অজুহাতে হরতাল, ধ্বংসাত্মক কাজ, ধর্মঘট ও কারখানায় গোলযোগ সৃষ্টি করে থাকে। শুধু তাই নয়, নেতৃত্বের লড়াইয়ে শ্রমিক সংগঠনগুলোকে বিভক্ত হতেও দেখা যায়। বড় বড় রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্কের কারণে কিছু কিছু শ্রমিক নেতারা নিজেদের রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় গেলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাও নিয়ে থাকেন।

পোশাক শিল্পে বাংলাদেশে সর্বাত্মক বিনিয়োগকারী সুইডিশ প্রতিষ্ঠান এইচঅ্যান্ডএম তাদের বিনিয়োগ আরো বিস্তৃত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সুইডেন সফরকালে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা একান্ত সাক্ষাৎকারে মিলিত হন। তবে এক্ষেত্রে কিছু কিছু বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছে।

শিল্প ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে, এগিয়ে যাবে সন্দেহ নেই। সুতরাং বিশ্বের এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বাংলাদেশকে স্থায়ীভাবে টিকে থাকতে হলে সরকারসহ দেশের রাজনৈতিক দল ও মালিক সম্প্রদায়কে একত্রিতভাবে শ্রমিকদের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে আসতে হবে। একমাত্র তাহলেই সম্ভব বাংলাদেশে পোশাকসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের বাজার স্থায়ীভাবে ধরে রাখা।

বাংলাদেশে এখনো কিছু কিছু বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন রয়েছে যারা সরাসরি শ্রমিক স্বার্থে কাজ করে আসছে। তবে বড় বড় রাজনৈতিক দল সমর্থিত শ্রমিক সংগঠনগুলোর সাথে প্রতিযোগিতায় তারা ততটা শক্ত অবস্থানে নেই বললেই চলে। যার কারণে তাদের কর্মতৎপরতা ততটা প্রকাশ পায় না কিংবা লক্ষ্যণীয় নয়। মিডিয়াও তাদের তেমন গুরুত্ব দেয় না। অথচ এরাই মূলত সরাসরি শ্রমিক স্বার্থে কাজ করছে। এরাই আসলে করছে প্রকৃত ট্রেড ইউনিয়ন। এদের আন্দোলন রাজনৈতিক দলের স্বার্থে নয়। তারা আন্দোলন করে শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানের জন্য, সরকার পরিবর্তনের জন্য নয়। এমনি একজন বামপন্থী নেত্রীর নাম মোশরেফা মিশু। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে অবস্থানকালে ৭১ টিভির একটি টকশোতে অংশগ্রহণ করেছিলামl ট্রেড ইউনিয়ন সংক্রান্ত এই টকশোতে আমার সাথে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

কথায় কথায় মিশু জানালেন পোশাক শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার্থে আন্দোলন করতে গিয়ে তার ওপর নেমে আসা নির্যাতনের কথাl এখানে তিনি শ্রমিকদের শোষণের যে চিত্র আমার কাছে তুলে ধরেছেন তা ভয়াবহ। শুধু তাই নয়, মালিকদের পক্ষে ভাড়াটিয়া মাস্তানদের দ্বারা তিনি কয়েকবার আক্রমণের শিকার হয়েছেন। আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি গ্রেপ্তারও হয়েছেন।

আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বাংলাদেশ সরকারের সদিচ্ছা থাকলে শ্রম আইন সংস্কারের মাধ্যমে ট্রেড ইউনিয়ন রাজনীতিতে একটা পরিবর্তন নিয়ে আসা অবশ্যই সম্ভব। দেশের শিল্পকে বাঁচাতে হলে, মালিক কর্তৃক শ্রমিক শোষণ বন্ধ করতে হলে, বিশ্বে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার আরো ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করতে হলে সরকারকে অনতিবিলম্বে এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

সরকার চাইলে এ ব্যাপারে সহযোগিতার জন্য সুইডেনের লেবার অর্গানাইজেশনের (এলও) সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এলও আন্তর্জাতিক বিভাগ বিশ্বের বিভিন্ন অনুন্নত দেশের শ্রমিক সংগঠনগুলোকে গণতান্ত্রিক কাঠামোয় নিয়ে আসার জন্য প্রশিক্ষণ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে আসছেl

লেখক- ইলেকটেড ভাইস প্রেসিডেন্ট, ইউনিয়ন অফ সার্ভিস অ্যান্ড কমুনিকেশন এমপ্লইজ (পোস্ট) সাউথ স্টকহলম ব্রাঞ্চ

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :