সবার জন্য পেনশনের প্রাথমিক কাজ আগামী বছর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৮ জুন ২০১৭, ২১:৪৯ | প্রকাশিত : ২৮ জুন ২০১৭, ২১:১৯

কেবল সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নন, অবসরকালীন এই সুবিধা সব নাগরিকের জন্যই নিশ্চিত করতে চান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আগামী অর্থবছর থেকেই এর প্রাথমিক কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার রাতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট আলোচনার ওপর বক্তব্য দিতে গিয়ে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেই উন্নত বিশ্বের নাগরিকদের মতো বাংলাদেশেও বেসরকারি খাতে পেনশন চালুর ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী। তবে কবে থেকে এই সুবিধা চালু হবে এবং এর হার কী হবে, কারাই বা পাবে, সেসব বিষয়ে তিনি কিছু না বলে ভবিষ্যতে এ বিষয়ে জানানোর কথা বলেন। আর আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো কিছু বলা নেই।

প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অর্থমন্ত্রী আজ বলেন, ‘পেনশনের একটা সুযোগ-সুবিধা পাওয়া হয়। কিন্তু পেনশন একটি সীমিত সংখ্যক লোকেরা পায়। এ জন্য ভবিষ্যতে আমরা একটি জাতীয় পেনশন স্কিমের চিন্তাভাবনা করছি এবং আমরা স্থির নিশ্চিত আগামী বছরেই আমরা সর্বজনীন পেনশনের প্রাথমিক কাজটি শুরু করতে সক্ষম হব।’

বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে কর্মসংস্থান বাড়ছে না বলে অর্থনীতিবিদরা যে সমালোচনা করছেন, তারও জবাব দেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো একটি জরিপ প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ৪.৩ শতাংশ থেকে নেমে ৪ শতাংশ হয়েছে। যে কোনো বিবেচনায় এটা উল্লেখযোগ্য পতন। কর্মসংস্থান যদি বৃদ্ধি না হতো বেকারত্বের হার কম সম্ভব হতো না।’

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কাঠামোগত পরিবর্তন হচ্ছে জানিয়ে মুহিত বলেন, ‘কৃষি হতে শিল্প এবং সেবাখাতে শ্রমশক্তি স্থানান্তরিক হচ্ছে। ২০১৩ সালে কৃষিখাতে ছিল দুই কোটি ৬২ লাখ শ্রমিক। ২০১৫ সালে সেটা নেমেছে দুই কোটি ৪৪ লাখে। অন্যদিকে ২০১৩ সালে শিল্প ও সেবাখাতে শ্রমিকের সংখ্যা ছিল এক কোটি ২১ লাখ ও এক কোটি ৯৮ লাখ। সেটা এখন দাঁড়িয়েছে এক কোটি ২৯ লাখ এবং দুই কোটি ২৬ লাখ।’

‘দেশে প্রবৃদ্ধির সিংহভাগ আসে শিল্প ও সেবাখাত থেকে। এই দুই খাতেই কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে। এ থেকে বোঝা যায় আমাদের প্রবৃদ্ধি এখনও কর্মসংস্থানবিহীন হয়নি’-বলেন অর্থমন্ত্রী।

বিনিয়োগ বৃদ্ধি নিয়ে সংশয় অমুলক বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অনেকেই ধারণা করেছেন এটা সম্ভব হবে না। তবে বেসরকারি বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে সর্ববৃহৎ বিনিয়োগের প্রস্তাব করছি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে শিল্পায়নের প্রসার ঘটবে অন্যদিকে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে।’

‘শিল্প স্থাপনের পথে বাধাগুলো দূর করার চেষ্টা করছি। এসব পদক্ষেপের মধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন, দক্ষ ও গতিশীল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি, বেসরকারি বিনিয়োগ অর্থায়নে ফান্ড স্থাপন উল্লেখযোগ্য। বিদেশি বিনিয়োগ বাধা দূর করতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিডা ওয়ানস্টপ সার্ভিসসহ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এসব পদক্ষেপসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি সাধিত হবে’-বলেন অর্থমন্ত্রী।

ঢাকাটাইমস/২৮জুন/টিএ/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংক এশিয়ার চুক্তি স্বাক্ষর

নিজ নেতৃত্বগুণে বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন বিশ্ববরেণ্য নেতা: ড. মশিউর রহমান

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ৩২তম মিলিয়নিয়ার হলেন কুমিল্লার ভ্যানচালক হুমায়ুন 

এবার মিরপুরে ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস

আয়ারল্যান্ডকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দেবে বাংলাদেশ: সালমান এফ রহমান

বাংলাদেশ ব্যাংক ও জনতা ব্যাংকের মধ্যে ক্রেডিট গ্যারান্টি বিষয়ে চুক্তি

এনসিসি ব্যাংক পিএলসি. এবং একপে এর মধ্যে ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক চুক্তি 

নগদ লেনদেনে এবার জমি জেতার সুযোগ

মার্কেন্টাইল ব্যাংকে আর্থিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপন

বিপণন কর্মকর্তাদের নিয়ে হামদর্দের জুম মিটিং অনুষ্ঠিত

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :