মা বটে!

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল
 | প্রকাশিত : ২৯ জুন ২০১৭, ২৩:০২

বৃহস্পতিবার বিকাল আড়াইটা। টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল-মঙ্গলহোড় সড়ক দিয়ে অটোযোগে যাচ্ছিল দুজন পুরুষ। সাথে ছিল দুজন নারী। এক নারীর কোলে ছয় মাস বয়সী ফুটফুটে একটি শিশু। ভাল-মন্দ দূরের কথা। মা-বাবাকে চেনার বুদ্ধিটুকু হয়নি শিশুটির। রাস্তায় মানুষের চাপ কম দেখে অটো থেকে নেমে ওরা চারজনে পতিত চারণ ভূমি থেকে দুটি গরু অটোতে তুলছিল।

গ্রাম বলে কথা। রাস্তা দিয়ে যাওয়া পথচারী ও জমিতে থাকা শ্রমিক মিলে ওদের ধাওয়া করে। অটোচালক সড়কে থাকায় দৌড়ে পালায়। এই চারজন সড়কের পাশের জমিতে থাকায় এবং ওদের মধ্যে এক নারীর কোলে শিশু থাকায় দৌড়ে পালাতে পারেনি ওরা চারজন। জনতার হাতে আটক হয় চারজন।

সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে শিশুসহ পাঁচ গরুচোর আটক। এক্ষেত্রে শিশুটির কী দোষ ছিল। অথচ ওই শিশুটিকে নিয়েই হিসাব ধরা হলো শিশুসহ ওরা ৫জন আটক। যে বয়সে শিশুকে চারিত্রিক গুণাবলী অর্জন শিক্ষা দেয়ার কথা, ঠিক সেই বয়সে ছোট্ট শিশুটিকে মা শিক্ষা দিচ্ছে চুরি বিদ্যা। শিশু বয়সেই শিখছে চুরির কৌশল। এদিকে খবর ছড়িয়ে পড়ায় হাজারো জনতা এসে ওই চার গরুচোরকে গণধোলাই দেয়। সড়কের পাশের মঙ্গলহোড় গ্রামের দৌলদ্দির বাড়িতে ওরা আশ্রয় নেয়। প্রথমে সাধারণ জনতা সেখানেও চারজনকে গণধোলাই দেয়। পরে বাড়ির মালিক দৌলদ্দি ওদের একটি ঘরের ভেতর আটক রেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ওদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

ওরা জানায়,ওদের একজনের নাম আটিক, অপরজনের নাম লালন। উভয়ের বাড়ি টাঙ্গাইল সদরের নগরজলফৈ। সাথে এক নারীর নাম সোনাবানু, অপরজনের সাবিনা বেগম।

উভয়ের বাড়ি টাঙ্গাইল সদরের কাগমারা। কেউ কারো আত্মীয় না। এ পেশার জন্য তাদের পরিচয়। স্বীকার করলেন দীর্ঘদিন ধরেই তারা একত্রে এ ধরনের কাজ করে আসছে।

দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওদের থানায় এনেই বিপদে পড়েছি। এখন কেউ বাদী হয়ে মামলা করছে না। তবে কেউ বাদী না হলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।

(ঢাকাটাইমস/২৯জুন/আরকে/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :