বগুড়ার প্রেমযমুনায় ভেসে ঈদের আনন্দ

প্রতীক ওমর, বগুড়া থেকে
 | প্রকাশিত : ০১ জুলাই ২০১৭, ০৮:৪২

ঈদ মানে উৎসব। ঈদ মানে আনন্দ। উৎসবে মেতে ওঠে শহর-নগর-গ্রাম। ঈদকে কেন্দ্র করে বন্ধুবান্ধব পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়ানোর মাতামাতি চলে সপ্তাহ খানেক ধরে। এমনই উৎসব বসেছিল উত্তরের জেলা বগুড়া ও গাইবান্ধার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীতে।

পর্যটন এলাকাগুলোর চেয়ে কোনো অংশে কম ছিল না যমুনার পাড় ও মাঝনদী। বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ধুনট পয়েন্টে যমুনাপাড়ের একাধিক এলাকা এবারের ঈদে হয়ে ওঠে হাজারো মানুষের পদচারণে মুখর। অনেকে এসেছেন দূর-দূরান্ত থেকে।

পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নৌকায় নদী ভ্রমণ করতে আসা জয়পুরহাটের বাসিন্দা রেজাউল করিম জানান, বউ- বাচ্চাদের নদী দেখানোর জন্য সারিয়াকান্দির প্রেমযমুনার ঘাটে এসেছি। ঈদের আনন্দ আরো জমিয়ে তোলার জন্যই মূলত এখানে আসা। নৌকা ভাড়া করে তিনি দুই ঘণ্টা সময় কাটান যমুনা নদীতে।

স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি নওগাঁ, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা জেলাসহ দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা নিয়মিতই এখানে আসে। ঈদের ছুটিতে আরো বেশি মানুষের উপস্থিতি নদীপাড়কে সরব করে তুলেছিল।

সারিয়াকান্দির স্থানীয় সাংবাদিক ইমরান হোসাইন রুবেল জানান, বছরের সব সময় সারিয়াকান্দির প্রেমযমুনার ঘাটে দর্শনার্থীদের আগমন ঘটলেও ঈদের সময় কয়েক গুণ বেশি মানুষ এখানে নদী দেখতে আসে।

গাইবান্ধার বোনারপাড়া এলাকা থেকে প্রেমযমুনায় ঘুরতে এসেছেন আসা মোকছেদ, আলমগীর, আতাউর রহমান, জাহিদ জানান। তারা ফুলছড়ি ঘাট থেকে নৌকা ভাড়া করে নদীপথে সারিয়াকান্দির প্রেমযমুনার ঘাটে আসেন। এখানে আসতে তাদের সময় লাগে ৫-৬ ঘণ্টা। ঈদের দ্বিতীয় দিন বগুড়ার সারিয়াকান্দির প্রেমযমুনার ঘাট, কালিতলা গ্রায়েন বাঁধ, ধুনটের বৈশাখীর চরসহ ফুলছড়ি ও বালাসি ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হাজারো শহুরে মানুষের ঢল। নদীপাড়ে দর্শনার্থীদের আগমনে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট দোকানঘর। তারা নানা পণ্য, পানিসহ বিভিন্ন রকম খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছে সেখানে।

ঘাটে শোভা পাচ্ছে নানা ধরনের শত শত নৌকা। দর্শনার্থীরা এসব নৌকা ভাড়া করে নদীতে ঘুরছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। ছোট, বড় ও মাঝরি আকারের এসব নৌকা ঘণ্টাা চুক্তিতে ভাড়া পাওয়া যায়। সাধারণত ঘণ্টাপ্রতি ২০০ টাকা ভাড়া হলেও ঈদের মৌসুমে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ের কারণে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে ঘণ্টায়। টাকা বেশি লাগলেও প্রেমযমুনায় নৌকা করে ঘুরতে পেরে খুশি দর্শনার্থীরা। নৌকার মাঝি আব্দুল্লাহ জানান, ঈদের মৌসুমে দশ-বারো দিন লোকজন বেশি আসে এখানে। এ সময় তাদের নৌকা চালিয়ে তুলনামূলক বেশি আয় হয়। তাতে তারাও খুশি।

এভাবেই ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ছে প্রেমযমুনায়।

(ঢাকাটাইমস/১জুলাই/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :