দলবেঁধে ধর্ষণ: আসামিদের বাদ দিয়ে মামলার অভিযোগ

ভোলা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ জুলাই ২০১৭, ১৭:১২

ভোলার লালমোহনে দলবেঁধে ধর্ষণ মামলায় ধর্ষিতার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে আসামিদের বাদ দিয়ে মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না বলেও অভিযোগ।

রবিবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ধর্ষিতার পরিবার।

লিখিত বক্তব্যে ধর্ষিতার চাচা বলেন, স্থানীয় কাঞ্চু বলীর ছেলে মোটরসাইকেলচালক মো. নুরুন নবী ১০ মে ভিকটিমকে তার বাড়ি থেকে ঘুরতে নেয়ার কথা বলে পাশের ওয়ার্ডের একটি সুপারি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে নুরুন নবী, নয়ন ও বেল্লাল দলবেঁধে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে মেম্বার মো. আলম স্থানীয় লাইজু নামে এক মহিলার ঘরে ভিকটিম এবং তার পরিবারকে তিন দিন আটকে রাখে। পরে পুলিশ তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে। পুলিশ ভিকটিমের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর ও টিপ সই রেখে দেয়। পরে এ ঘটনায় সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। এতে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত কয়েকজন আসামি বাদ পড়ে।

ভিকটিমের চাচা জানান, যাদের আসামি করা হয়েছে- তারাও এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মামলার দেড় মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে আটক করেনি। মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে চার্জসিট থেকে তাদের নাম বাদ দিতে আলম মেম্বার প্রায় দশ লাখ টাকা নিয়েছে। এখন আসামিরা ভিকটিমের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে ও গ্রাম থেকে চলে যেতে হুমকি দিচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন ভিকটিম ও ভিকটিমের মা।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আলম মেম্বার বলেন, এমন একটি ঘটনা আমি শুনেছি। থানায় মামলাও হয়েছে। কে বা কারা এটি করেছে- তা আমি জানি না। আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি, ব্যবসা করে ভাত খাই। এগুলোর সাথে আমি জড়িত না।

লালমোহন সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ভিকটিমের জবানবন্দি অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ- তা সত্য নয়। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :