ভারী বৃষ্টিতে লামায় পাহাড় ধস, তলিয়েছে এলাকা

বান্দরবান প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ জুলাই ২০১৭, ১৩:০৯

টানা দুইদিনের মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের লামায় বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাসিন্দাদের সরে যেতে আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন।

বৃষ্টিতে পৌর এলাকাসহ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। মাতামুহুরী নদী, লামাখাল, ইয়াংছা খাল, বগাইছড়িখাল ও পোপা খালসহ বিভিন্ন স্থানের পাহাড়ি ঝিরিগুলোতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে এসব মানুষ।

এছাড়া পানির স্রোতে সড়ক ভেঙে যাওয়া ও সড়কের ওপর পাহাড় ধসে পড়ায় অনেক স্থানে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে মাতামুহুরী নদী বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। পাহাড় ধসে প্রাণহানির আশঙ্কায় উপজেলা প্রশাসন, লামা পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোর পক্ষ থেকে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য তাগিদ দেয়া হচ্ছে। বন্যা কবলিতদের আশ্রয় দিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের কোয়ার্টার খুলে দেয়া হয়েছে। টানা বর্ষণ অব্যাহত থাকলে আরও বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, গত রবিবার সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টির কারণে উপজেলার প্রতিটি নদী, খাল ও ঝিরির পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার বিকাল নাগাদ লামা পৌর এলাকার নয়াপাড়া, বাসস্ট্যান্ড, টিঅ্যান্ডটি পাড়া, বাজারপাড়া, লামা বাজার, চেয়ারম্যান পাড়ার একাংশ, ছোট নুনারবিলপাড়া, বড় নুনারবিলপাড়া, লাইনঝিরি, ফকিরপাড়া, হাজিপাড়া, কলিঙ্গাবিলপাড়া, উপজেলা পরিষদের আবাসিক কোয়ার্টারসমূহ, থানা এলাকা, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা বাজার, হারগাজা, বগাইছড়ি, বনপুর ও লামা সদর ইউনিয়নের মেরাখোলা, অংহ্লাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে পৌর এলাকার হলিচাইল পাবলিক স্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি বেসরকারি সংস্থার কার্যালয়সহ সহস্রাধিক ঘরবাড়ি রয়েছে।

ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার জানান, পাহাড়ি ঢলের পানিতে ইয়াংছা বাজার, হারগাজা, বগাইছড়ি এলাকা প্লাবিত হয়। ভারী বর্ষণে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ায় ও বৃষ্টির পানির স্রোতে ইয়াংছা-বনপুর, বগাইছড়ি-হারগাজা-সাফেরঘাটা সড়কে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম জানান, পৌরসভার কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে বন্যার পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক তদারকি করার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেয়া লোকজনদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

পৌর মেয়র আরও বলেন, ইতোমধ্যে মাইকিং করে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা বসবাসকারীদের নিরাপদে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।

লামা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী জানান, বন্যা কবলিতদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে পৌর এলাকাসহ ইউনিয়নগুলোতে মাইকিং করে জনসাধারণকে নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/০৪জুলাই/প্রতিনিধি/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :