জবানবন্দি দিতে আদালতে ফরহাদ মজহার

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৪ জুলাই ২০১৭, ১৫:৩৬ | প্রকাশিত : ০৪ জুলাই ২০১৭, ১৫:৩০

‘অপহরণ’ এর অভিযোগে করা মামলায় জবানবন্দি দিতে আদালতে নেয়া হয়েছে আলোচিত সমালোচিত লেখক, কবি ফরহাদ মজহারকে। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মহানগর আহসান হাবিবের আদালতে তোলা হয়েছে তাকে।

মঙ্গলবার বেলা পৌণে তিনটার দিকে ফরহাদ মজহারকে আদালতে তোলা হয়। তার পরিবারের সবাই আদালতে উপস্থিত আছেন। তাকে পরিবারের জিম্মায় নেয়ার জন্য আইনজীবীরা আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

সোমবার ভোরে শ্যামলীর বাসা থেকে বের হওয়ার পর তাকে অপহরণের অভিযোগে ওই দিন বিকালে রাজধানীর আদারব থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার সঙ্গিনী ফরিদা আক্তার।

আর কথিত ‘নিখোঁজ হওয়ার ১৯ ঘণ্টা পর যশোরের অভয়নগর থেকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করা হয়। তিনি একটি বাসে করে ঢাকায় ফিরছিলেন বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

রাতে অভয়নগর রাখার পর মঙ্গলবার ভোরে ফরহাদকে ঢাকায় আনা হয়। আদাবর থানা হয়ে তাকে নেয়া হয় মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে ফরহাদ পুলিশকে জানান, ভোরে তিনি ওষুধ কিনতে বের হয়েছিলেন। এ সময় কয়েকজন তাকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে চোখ বেঁধে দেন।

দুপুরে গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে ফরহাদকে জবানবন্দি নিতে আদালতে পাঠানোর কথা বলা হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন জানান, ফরহাদ মজহারের জবানবন্দির আলোকেই তদন্ত এগিয়ে নেবেন তারা।

তবে খুলনায় পুলিশ জানিয়েছে, ফরহাদ মজহার অপহরণ নাটক সাজিয়েছেন বলে মনে হয়েছে তাদের। খুলনা থেকে মিস্টার গফুর নামে টিকিট কেটে তিনি ঢাকায় ফিরছিলেন।

বামপন্থী হিসেবে নিজের পরিচয় দিলেও ফরহাদ মজহার ইদানীং তার বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন। নিজে ধর্মচর্চা না করলেও তিনি ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের একটি সমর্থক। ইসলামী সমাজ ব্যবস্থার পক্ষে লেখালেখির কারণে হেফাজতের মধ্যে তার জনপ্রিয়তাও রয়েছে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে উঠা আন্দোলন গণজাগরণ মঞ্চের কট্টর সমালোচকদের একজন ফরহাদ মজহার। বিএনপি এবং জামায়াতের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা আছে। নানা সংকটকালীন সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তাকে ডেকে নিয়ে পরামর্শ নিয়েছেন।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে জেএমবি বোমাবাজি শুরু করার পর তাদের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে সমালোচিত হন ফরহাদ। তিনি সে সময় বলেছিলেন, জেএমবির বোমাবাজরা সন্ত্রাসী হলে মুক্তিযোদ্ধারাও সন্ত্রাসী।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলনের সময় একাত্তর টেলিভিশনের সাংবাদিকদের ওপর বোমা হামলার পর তিনি এর পক্ষে অবস্থান নিয়েও যথেষ্ট সমালোচিত হয়েছিলেন।

ঢাকাটাইমস/০৪জুলাই/আরজেড/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

ব্যবসায়ী নাসিরের মামলা: পরীমনিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েছিলেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

বোট ক্লাব কাণ্ড: প্রতিবেদন দিল পিবিআই, ব্যবসায়ী নাসিরের মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন পরীমনি?

ড. ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল

সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনা: আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড

অরিত্রীর আত্মহত্যা: চতুর্থ বারের মতো পেছাল রায় ঘোষণার দিন, কী কারণ?

অরিত্রীর আত্মহত্যা: ভিকারুননিসার ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার রায় আজ

বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বিকে হলের সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশ

আত্মসমর্পণের পর ট্রান্সকমের ৩ কর্মকর্তার জামিন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :