অর্থবছর পাল্টাতে গণবিতর্ক চান অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৫ জুলাই ২০১৭, ১৫:২৪ | প্রকাশিত : ০৫ জুলাই ২০১৭, ১৩:৫৮

জুলাই থেকে জুনের বদলে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর বা এপ্রিল থেকে মার্চ পর্যন্ত অর্থবছর নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিতে গণবিতর্ক চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘অনেকেই চাইছেন অর্থবছর পরিবর্তন করা হোক। কেউ বলছেন এটা এপ্রিল-মার্চ করতে। আবার নতুন করে অনেকে দাবি করছেন জানুয়ারি-ডিসেম্বর। এটা নির্ধারণে গণবির্তক হতে পারে।’

বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

জুন থেকে জুলাই অর্থবছর হলে বর্ষার কারণে অর্থবছরের শেষ ভাগে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সমস্যার তৈরি করে। এ কারণে অর্থনীতিবিদদের একাংশ অর্থবছর পরিবর্তনের পক্ষে। তারা বলছেন, বাজেটে উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ রাখার পর পেপারওয়ার্ক করতে করতেই অনেক দেরি হয়ে যায়। আর মূল কাজ শুরু হতে অনেক সময় ছয় মাসও লেগে যায়। আবার অর্থছাড়ে বিলম্বের কারণে সে কাজও প্রত্যাশিত গতি পায় না।

তবে জুন ক্লোজিংয়ের আগে অর্থছাড়ের গতি বেড়ে যায়। আর সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে হয়। কিন্তু জুনের মাঝামাঝি থেকে আবার বর্ষাকাল চলে আসে। বৃষ্টি শুরু হলে ‍উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ভোগান্তিরও কারণ হয় দেশবাসীর জন্য।

এ কারণে অর্থবছর পাল্টানোর কথা উঠছে গত কয়েক বছর ধরেই। তারা বলছেন, এটা পাল্টে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর, নিদেনপক্ষে এপ্রিল থেকে মার্চ পর্যন্ত করা হলেও বর্ষার আগেই বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হয়ে যাবে। এতে কাজের গতি যেমন আসবে, তেমনি বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিগুলো আর হবে না।

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম এ হামিদও অর্থমন্ত্রীর কাছে অর্থবছর পরিবর্তনের প্রস্তাব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অর্থবছরে নিয়ে জনমত তৈরি করেছি। সবাই জানুয়ারি-ডিসেম্বর করার বিষয়ে মত দিয়েছেন। কারণ আমাদের সকল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় জানুয়ারি-ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে।’

এর জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জানুয়ারি-ডিসেম্বর অর্থবছর পৃথিবীর কোথাও নেই। তবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় এটি আছে। তবে এপ্রিল-মার্চ এর রেকর্ড আছে।’

আলোচনা সভায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের পক্ষ থেকে কারিগরি শিক্ষার প্রসারে বিভিন্ন দাবি দাওয়া তুলে ধরা হয়। এসব বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার কারিগরি শিক্ষার ওপর বেশ গুরুত্ব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন প্রত্যেকটি উপজেলা টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট হবে। এই সংখ্যা আরও বাড়বে।

ঢাকাটাইমস/০৫জুলাই/এমএম/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :