সনদ জালিয়তি: প্রধান শিক্ষকের ১২ বছর কারাদণ্ড

ঝালকাঠি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৫ জুলাই ২০১৭, ১৯:২৯ | প্রকাশিত : ০৫ জুলাই ২০১৭, ১৯:২৮
ফাইল ছবি

শিক্ষাগত সনদ জালিয়তিসহ তিনটি মামলায় ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ডেবরা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিনকে মোট ১২ বছর কারাদণ্ড ও ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

এর মধ্যে সনদ জালিয়াতি ও সরকারি কাজে বাধা দানের মামলায় পাঁচ বছর করে ১০ বছর ও প্রতারণা মামলায় দুই বছর কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে ঝালকাঠির মুখ্য বিচারিক আদলতের হাকিম আবু মো. শামীম আজাদ এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি সঞ্জীব বিশ্বাস।

আদালতে নিযুক্ত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি সঞ্জীব বিশ্বাস রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ মামলায় যুক্তিতর্ক গ্রহণ শেষে গত রবিবার আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠায়। রায়ের সময় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি ডেবরা গ্রামের নজরুল ইসলাম হাওলাদারের (নজির মাস্টার) ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুয়া সনদের অভিযোগে গত ১০ বছর ধরে রুহুল আমিনের এমপিও স্থগিত রয়েছে। জাল সনদে শিক্ষকতা, প্রতারণা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে ২০১১ সালের ২৬ জুন প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে নলছিটি থানায় মামলা করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। বাদী তৎকালীন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম হারুন অর রশিদ, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী আকন, উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল বাশার তালুকদার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (সনদ) সরদার মো. এরশাদ, যশোর শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উচ্চ মাধ্যমিক) মো. আজমল গনিসহ সাতজনকে মামলায় সাক্ষী করা হয়।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর দণ্ডবিধির ৩৫৩, ৪০৬, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারার অধীনে ঝালকাঠির আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

চার্জশিটে বলা হয়, স্কুলের চাকরিতে যোগদানের সময় রুহুল আমিনের দাখিল করা এসএসসি, এইচএসসি সনদকে যশোর শিক্ষা বোর্ড এবং বিএ ও বিএড পরীক্ষার সনদকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভুয়া বলে প্রত্যয়ন করেছে। তার বিরুদ্ধে শিক্ষাগত সনদ জালিয়তি, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সরকারি কাজে বাধা দেয়া ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়।

২০১৩ সালের ৮ এপ্রিল এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এর আগে একটি অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসারের তদন্তে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনের শিক্ষাগত সকল সনদই ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়।

এর প্রেক্ষিতে ২০০৭ সালের জুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই শিক্ষকের এমপিও স্থগিত করেন। পরে ওই স্কুলের শিক্ষকদের মাসিক হাজিরা খাতায় রুহুল আমিনের এমপিও স্থগিতের বিষয়টি উল্লেখ করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। এরপর এমপিও স্থগিতের বিষয়টি মাসিক হাজিরা খাতায় উল্লেখ না করতে হুমকি ও চাপ সৃষ্টির অভিযোগে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/৫জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফেসবুক আইডি ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পতেঙ্গায় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ

চট্টগ্রামে ঈদকে সামনে রেখে জালনোট চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে যাত্রী নামানোর অপরাধে ৩৩ যানবাহনকে মামলা 

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে  

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেক

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :