জন্ডিস থেকে মুক্তি পেতে
চলছে বর্ষাকাল। আর বর্ষা মানেই জন্ডিসের প্রকোপ। এটি একটি ভয়ংকর জন্ডিস। কিন্তু কীভাবে রক্ষা পাবেন জন্ডিসের হাত থেকে? পরামর্শ দিচ্ছেন ডা. নীলাদ্রি সরকার।
সাধারণত হেপাটাইটিস বা জন্ডিস ভাইরাস জনিত সমস্যা। এই রোগের ক্ষেত্রে লিভারের কার্যক্ষমতা কমে যায়। জন্ডিস বা হেপাটাইটিস মূলত তিন ধরনের হয়। প্রি-হেপাটাইটিক, হেপাটাইটিস, পোস্ট-হেপাটাইটিক। হিউমেলেটিক জন্ডিস অর্থাৎ থ্যালাসেমিয়া রোগীদের হয় প্রি-হেপাটাইটিক জন্ডিস, হেপাটাইটিস ভাইরাস থেকে হয় জন্ডিস বা হেপাটাইটিস। আর পোস্ট-হেপাটাইটিক হয় কখন কোনো অপারেশন কিংবা শরীরে স্টোন বা টিউমার থেকে।
ভাইরাল হেপাটাইটিস থেকে জন্ডিসের লক্ষণ হলো বমি ভাব, খেতে অনীহা, হলুদ প্রস্রাব হবে। এছাড়া চোখ হলুদ হবে। সেই সঙ্গে থাকবে জ্বর, পেটে ব্যথা। থ্যালাসেমিয়া থেকে জন্ডিস হলে তার কোনো লক্ষণ থাকে না। সেক্ষেত্রে অ্যানিমিয়ার লক্ষণ দেখা যায়। সঙ্গে বুক ধড়ফড়, মাথাব্যথাও হতে পারে। সাধারণত যাঁরা বাইরের খাবার খুব বেশি খায় তাদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। বাইরের জল খাওয়ার অভ্যাস খুব বেশি দায়ী। বর্ষাকালে হেপাটাইটিস এ, ই সবচেয়ে বেশি হয়। জলের দ্বারা এই ধরনের ভাইরাস খুব সহজে একদেহ থেকে অন্য দেহে ছড়ায়।
কীভাবে মুক্তি পাবেন?
এই রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে সবচেয়ে জরুরি ভ্যাকসিন নেয়া। বর্তমানে শিশু জন্মের পরই দেয়া হয় এই টিকা। তবে যাদের এই টিকা নেয়া নেই তারা যেকোনো বয়সেই সেটা নিতে পারে। প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন নেয়ার আগে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা (হেপাটাইটিস বি সারফেস অ্যান্টিজেন) করে হেপাটাইটিস ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করেছে কি না তা দেখে নেয়া উচিত। রেজাল্ট নেগেটিভ হলে ভ্যাকসিন নেয়া অত্যন্ত জরুরি।
এই ভ্যাকসিনের তিনটি ডোজ। প্রথম ডোজ নেয়ার একমাসের মাথায় দ্বিতীয়টি, ছয় মাসের মাথায় তৃতীয়টি নিতে হবে। সেই সঙ্গে অবশ্যই যত্রতত্র পানি খাওয়ার অভ্যাস পাল্টাতে হবে। পরিস্রুত পানীয় জল খান। পাশাপাশি বাইরের ফলের রস, ফুচকা এড়িয়ে চলুন।
(ঢাকাটাইমস/০৬জুলাই/জেবি)