ঢাকার ১৩ ডিসির বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০১৭, ২০:৫৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে (এএফডিজি) সই করেছেন ঢাকার ১৩ জেলা প্রশাসক। বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এই চুক্তি সই হয়।

বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম।

জিয়াউল আলম বলেন, ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই চুক্তিস্বাক্ষর কার্যক্রম এখন আর শিশু নয়। এটা চতুর্থ বছরে পদার্পণ করেছে। আমরা এত দিন কাজ করেছি, কিন্তু কোনো কমিটমেন্ট ছিল না। নতুন যারা জেলা প্রশাসক হয়েছেন তাদের তিন বছরের একটি কমিটমেন্ট আছে। সেই কমিটমেন্টের বিষয় এএফডিজিতে থাকবে।’

জেলা প্রশাসকদের প্রশিক্ষণ সরঞ্জামাদি দিয়ে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়ে জিয়াউল আলম বলেন, ‘এভাবেই মাস্টার ট্রেনার তৈরি করা যেতে পারে। মাঠ পর্যায়ে অনেক এপিএ ডকুমেন্ট দেখেছি তা অনেক দুর্বল।’

অনুষ্ঠানের শুরুতে সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভিডিওচিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্য ভিডিওতে দেখানো হয়।

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের চুক্তি সই হয়। সরকারের তিনটি টার্গেট। একটি হলো ২০২১ সালের মধ্য বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ করা, ২০৩০ সালের মধ্য এসডিজি বাস্তবায়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্য উন্নত আয়ের দেশ হওয়া।’

প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে হেলালুদ্দীন বলেন, মোবাইল কোর্ট চ্যালেঞ্জের মধ্য পড়ে গেছে। এসব চ্যালেঞ্জ গুরুত্ব দিয়ে চুক্তি বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানান।

কার্যকর, দক্ষ এবং গতিশীল প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৪৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সইয়ের ব্যবস্থা চালু হয়েছিল।

সরকারের নীতি ও কর্মসূচি যথাযথ বাস্তবায়ন করা, সরকারের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা-দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা, সরকারি সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও গতিশীল প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির উদ্দেশ্য।

পূর্ববর্তী বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় বছর শেষে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে ধার্যকৃত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর প্রকৃত অর্জনের ভিত্তিতে মোট স্কোর নির্ধারণ হবে।

কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে হবে। ছয় মাসের প্রতিবেদন পাঠানো হবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। অর্ধবার্ষিক অর্জনগুলো জাতীয় কমিটি কর্তৃক পর্যালোচনা করা হবে।

অর্থবছর শেষে মন্ত্রণালয় কর্তৃক মূল্যায়ন প্রতিবেদন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি টিমের মূল্যায়ন সদস্যদের মাধ্যমে যাচাই, বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক প্রতিবেদন পর্যালোচনা, জাতীয় কমিটিতে উপস্থাপন, জাতীয় কমিটি কর্তৃক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৬জুলাই/এএ/মোআ)