দুর্নীতির অভিযোগ: উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ জুলাই ২০১৭, ১৯:৩৩

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের টাকা ৫৪ লাখ ৪৬৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে লোহাগড়া উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, এলজিইডির প্রকৌশলীসহ তিন ঠিকাদারের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আলী আকবর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই ছয়জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেন।

এ মামলায় দুপুরে এলজিইডির লোহাগড়া উপজেলা প্রকৌশলী ওসমান গণি এবং ঠিকাদার লোহাগড়ার পোদ্দারপাড়ার পরিমল কুমার ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন-লোহাগড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু, তৎকালীন ইউএনও সেলিম রেজা, ঠিকাদার গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার চরভাটপাড়ার আরাফাত আজম এবং অপর ঠিকাদার চরভাটপাড়ার মোর্শেদ আজমের স্ত্রী সাফিয়া মোর্শেদ।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, এলজিইডির অধীনে অনগ্রসর উপজেলার জন্য বিশেষ থোক বরাদ্দ উপখাত থেকে ২০১৬ সালের ৩ জানুয়ারি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য এক কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে চাচই ওয়াপদা থেকে কালনা সড়ক মেরামতে ৭৮ লাখ ৮৬ হাজার ৫৬৯ টাকা টাকা উপ-বরাদ্দ দেয়া হয়। এ বরাদ্দের আশিংক কাজ না করে ওই বছরের (২০১৬) ২৬ জুন আসামিরা বিল উত্তোলন করে নেন। এখানে তিন লাখ ৩৬ হাজার ৮০৪ টাকা আত্মসাত করেন। এছাড়া চাচই সিডি থেকে কালনা সড়ক উন্নয়নে ২৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪২৯ টাকা উপবরাদ্দ করা হয়। এখানেও আশিংক কাজ না করে বিল উত্তোলনের মাধ্যমে দুই লাখ ৫৫ হাজার ১৮৪ টাকা আত্মসাত করেন আসামিরা।

এছাড়া, ২০১৬ সালের ৩ মে লোহাগড়া উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে চাচই সিডি এলাকা থেকে কালনা সড়ক উন্নয়নে ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা উপ-বরাদ্দ করা হয়। এ বরাদ্দকৃত টাকা আশিংক কাজ না করে ওই বছরের ২৬ জুন আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পাঁচ লাখ আট হাজার ৪৮০ টাকা আত্মসাত করেন। তিনটি উন্নয়ন কাজে ১১ লাখ ৪৬৮ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে, লোহাগড়ায় নদী ভাঙন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে টিন বিতরণ, বাল্যবিয়ে বন্ধে ইমাম, কাজি ও মহিলাদের মাঝে পোশাক বিতরণ, প্রশিক্ষণ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়াসামগ্রী, আসবাবপত্র বিতরণ ও শ্রেণিকক্ষ নির্মাণসহ ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের ৪৩ লাখ আত্মসাতের অভিযোগে লোহাগড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু, তৎকালীন ইউএনও সেলিম রেজা এবং লোহাগড়া উপজেলা প্রকৌশলী ওসমান গণির নামে লোহাগড়া থানায় আরো একটি মামলা করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৭জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফেসবুক আইডি ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পতেঙ্গায় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ

চট্টগ্রামে ঈদকে সামনে রেখে জালনোট চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে যাত্রী নামানোর অপরাধে ৩৩ যানবাহনকে মামলা 

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে  

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেক

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :