হলি আর্টিজানে হামলার ‘পরিকল্পনাকারী’ মাহফুজ গ্রেপ্তার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৮ জুলাই ২০১৭, ১৪:৪২ | প্রকাশিত : ০৮ জুলাই ২০১৭, ১০:১৪

রাজধানীর অভিজাত হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার অন্যতম আসামি সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজকে গ্রেপ্তার করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ, যিনি হলি আর্টিজানে হামলার পরিকল্পনা ও গ্রেনেড সরবরাহকারী ছিলেন বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া মাহফুজের তিন সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার ভোররাত তিনটার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের পুষকিনি এলাকার একটি আমবাগানে গোপন মিটিং করার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার সাদিপুর কাবলিপাড়া গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে সোহেল মাহফুজ, নব্য জেএমবির আইটি স্পেশালিস্ট হাফিজুর রহমান হাফিজ, চাঁপাইনববাগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পার্বতীপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে অস্ত্র সরবরাহকারী জুয়েল এবং একই উপজেলার বিশ্বনাথপুর কাটিয়াপাড়া গ্রামের এসলামের ছেলে জামাল।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা থেকে আসা কাউন্টার টেরিরিজম ইউনিটের সদস্য এবং বগুড়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের সহযোগিতায় পুষকিনি এলাকার একটি আমবাগানের মধ্যে গোপন বৈঠক করার সময় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও জানান, সোহেল মাহফুজকে অনেক দিন ধরইে খুজঁছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

মোজাহিদুল ইসলাম আরও জানান, মাহফুজ গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার আসামি হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকি তিনজন চাঁপাইনবাবগঞ্জে একাধিক মামলার আসামি। তাই তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামলায় দেশি-বিদেশি ২০ জনসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালির, সাতজন জাপানি ও একজন ভারতের নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশি। পর দিন সকালে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে ছয় জন নিহত হয়। আইএস এর পক্ষ থেকে এদের মধ্যে পাঁচজনকে তাদের ‘সৈনিক’ বলে দাবি করে, তারা হামলার দায় নেয়।

হামলার ওই ঘটনায় মাস্টারমাইন্ডসহ ২৬ জনকে চিহ্নিত করা হয়। তারা সবাই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মাস্টারমাইন্ড তামিম আহমেদ চৌধুরী, তানভীর কাদেরী, নুরুল ইসলাম মারজান, আবু রায়হান তারেক, সারোয়ার জাহান, আব্দুল্লাহ মোতালেবসহ ১৪ জনের মতো নিহত হয়েছেন। এছাড়া মামলার চার আসামিকে জীবিত ধরা হয়েছে। পলাতক রয়েছে আরও কয়েকজন ভয়ঙ্কর জঙ্গি। পলাতকদের মধ্যে সোহেল মাহফুজও ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/৮জুলাই/প্রতিনিধি/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :