‘বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে ভারত’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৮ জুলাই ২০১৭, ২৩:০৭ | প্রকাশিত : ০৮ জুলাই ২০১৭, ২২:৩০

সুসম্পর্কের কারণে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা ভারতে বিশেষ সুযোগ পাচ্ছে বলে মনে করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘ভারত সাধারণত আন্তর্জাতিক কোনো প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি না থাকলে খাদ্যপণ্য আমদানি করে না। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক থাকার কারণে ২১টি খাদ্যপণ্য রপ্তানির সুযোগ দেয়া হচ্ছে।’

শনিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘কৃষি, হর্টিকালচার ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যশিল্পখাতের ওপর ব্যবসায়িক সম্মেলন’-এ এই কথা জানান তিনি। ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাসকিন আহমেদ, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন), সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদসহ দুই দেশের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বাংলাদেশে শিল্পায়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০টি ইকোনোমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। ভারতের উদ্যোক্তারা চাইলে এর একটি তাদের জন্যও একটি বিশেষায়িত শিল্পাঞ্চল বরাদ্দ দেয়া হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে বিরাজমান স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারতীয় শিল্প উদ্যোক্তারা নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করতে পারেন। এর ফলে বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ বাড়বে। পাশাপাশি বাংলাদেশে বিনিয়োগকৃত শিল্প কারখানায় উৎপাদিত পণ্য ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পুনঃরপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে। এতে করে দুই দেশের উদ্যোক্তা ও জনগণ লাভবান হবেন। এটি আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ঘাটতি কমাতেও ইতিবাচক অবদান রাখবে। পাশাপাশি রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণের নতুন সুযোগ তৈরি করবে।’

আমু বলেন, ‘আমি আশ্বস্ত করতে চাই, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পাশে থাকা পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে আপনারা বাংলাদেশে যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে এলে আমরা সম্ভব সব ধরনের সহায়তা দেব। বাংলাদেশি উদ্যোক্তারাও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে যৌথ বিনিয়োগ করতে পারেন। এক্ষেত্রেও আমাদের সরকার উদার নীতি গ্রহণ করবে।’

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিশাল সুযোগ রয়েছে। এ অঞ্চলে বাংলাদেশি ইট, সিমেন্ট, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং খাদ্যপণ্য, কৃষিভিত্তিক পণ্য, মাছ এবং মাছজাত পণ্য, মেলামাইন, সিরামিক, প্রসাধনী ও কসমেটিক্স এবং সিআই শিট, হালকা প্রকৌশল পণ্য ইত্যাদির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও সবজি, মশলা এবং ফল-মূল ইত্যাদি রপ্তানির অপার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এবং দেশের চাহিদা মিটিয়ে এগুলো ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।’

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘প্রক্রিতাজাত খাদ্যপণ্যের উন্নয়নে আমরা দিয়েছে। ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা চাইলে এ খাতে বিনিয়োগ করতে পারে।’

এসময় ভারত-বাংলাদেশের দুই দিনব্যাপী ক্রেতা বিক্রেতা মিলনমেলা উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী। শনিবার শুরু হওয়া এ মেলা শেষ হবে আগামীকাল রবিবার। মেলা চলবে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

(ঢাকাটাইমস/০৮জুলাই/জেআর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে জনতা ব্যাংকের ইফতার সামগ্রী বিতরণ

ঈদ উৎসব মাতাতে ‘ঢেউ’য়ের ওয়েস্টার্ন সংগ্রহ

৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

সিটি ব্যাংকের ২০২৩ সালের মুনাফা ৬৩৮ কোটি টাকা, বেড়েছে ৩৩%

ঈদ অফারে বিনামূল্যে মিনিস্টারের রেফ্রিজারেটর পেলেন আসাদুজ্জামান সুমন

সোনালী ব্যাংকে ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনাসভা

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৭টি নতুন উপশাখার উদ্বোধন

স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শ্রদ্ধা

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কর্মসংস্থান ব্যাংকের শ্রদ্ধা

স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :