কলেজছাত্রী অপহরণ, বাবা-মাকে কুপিয়ে জখম
লক্ষ্মীপুরে নিজ বাসা থেকে এক কলেজছাত্রীকে হাত-মুখ বেঁধে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় মেয়ের বাবা-মা বাধা দিলে তাদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপহৃত কলেজছাত্রীকে উদ্ধারে অভিযানে নেমেছে পুলিশ। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আবিরনগর এলাকায় ভবানীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী নিজ ঘরে একা একা বসে টেলিভিশন দেখছিলেন। পাশের রান্নাঘরে রাতের খাবার খেতে যায় বাবা আবুল কাশেম ও মা কুলসুমা বেগম। পূর্বপরিকল্পিতভাবে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৭-৮জনের দুর্বৃত্ত বাড়িতে ঢুকে রান্নাঘরের দরজা বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে বাসায় ঢুকে ওই কলেজছাত্রীকে হাত-মুখ বেঁধে অস্ত্রের মুখে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে তারা নিয়ে যায়। এ সময় শোরগোল শুনে বাবা আবুল কাশেম ও মা রান্না ঘরের দরজা ভেঙে বের হয়ে এসে দুর্বৃত্তদের বাধা দেন। এক পর্যায়ে বাবা ও মাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে তারা পালিয়ে যায়। খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন এক নারীকে আটক করে।
ঘটনার পর থেকে ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
অপহৃত কলেজছাত্রীকে দ্রুত উদ্ধারের দাবি জানান মেয়েটির বাবা আবুল কাশেম, মা কুলসুম বেগম।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ওযার্ড কাউন্সিলর মীর শাহাদাত হোসেন রুবেল জানান, স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। দ্রুত কলেজছাত্রীকে উদ্ধারের দাবি জানান তিনি।
শহর পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনসার আলী জানান, কলেজছাত্রীকে অপহরণের সত্যতা পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন এক নারীকে আটক করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও তাকে উদ্ধারে অভিযান চলছে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
(ঢাকাটাইমস/৯জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)