মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন

জাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ জুলাই ২০১৭, ১৭:১২

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে ‘প্রতিবাদের নাম জাহাঙ্গীরনগর’-এর ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ডাকা এ মানববন্ধন হয়ে শেষ হয় দুপুর পৌনে ১২টায়।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহ-সভাপতি অলিউর রহমান সানের সঞ্চালনায় মানবন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌহিদ হাসান শুভ্র বলেন, আমাদের এ আন্দোলন আজকেই শেষ নয়। যতদিন না মামলা প্রত্যাহার করা না হবে ততদিন এ আন্দোলন চলবে।

তিনি বলেন, দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় আমরা সাত দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করলে প্রশাসন আমাদের মিথ্যা আশ্বাস দিতে থাকে। কিন্তু তাদের মিথ্যা আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা প্রভাবিত না হলে তারা ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেয় হামলা করার জন্য। শেষ পর্যন্ত অবরোধ তুলে নিতে উপাচার্য নিজে আমাদের ১৫ সময় দিয়ে পরবর্তী দুই মিনিটের মধ্যে পুলিশ বাহিনী দিয়ে ন্যাক্কারজনক হামলা চালালেন। আর সেই হামলার কারণ জানতে তার বাসায় গেলে তিনি আমাদের সাথে কথা না বলে উল্টো তার অনুগত কয়েকজন শিক্ষকের উপর হামলা ও তার বাসভবন ভাঙচুরের মতো মিথ্যা মামলা দিয়ে রাতের আধারে ৪২ জন শিক্ষার্থীকে কালো গ্লাসের গাড়িতে করে উঠিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ এবং ৫৪ জনের বিরোদ্ধে মামলা দেয়।

অন্যদিকে প্রশাসনের আশ্বাসের সেই স্পিড ব্রেকার এখন অনেকাংশেই উঠে গিয়েছে। ফলে যানবাহনও তাদের আগের সেই গতিতে চলাচল করছে।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট ও জাবি সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন শেষে পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্যমঞ্চের ব্যানারে মৌন মিছিল হবে বলে জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ মে ভোরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় বাসচাপায় নাজমুল হাসান রানা ও মেহেদী হাসান আরাফাত নামে দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং নিরাপদ সড়কসহ সাত দফা দাবিতে পরদিন ২৭ মে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। বিকালে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ছুড়ে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। পরে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। এ সময় কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্ছিত হন বলে অভিযোগ উঠে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন রাতে উপাচার্যের বাসভবনে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেটে ৩১ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা অন্তত ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

মধ্যরাতে উপাচার্যের বাসভবন থেকে ৪২ শিক্ষার্থীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে প্রশাসনের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

(ঢাকাটাইমস/৯জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :