টাঙ্গাইলে বিপদ সীমার উপরে যমুনা
পানি বাড়ছে যমুনাতে। বর্তমানে নদীটির টাঙ্গাইলের অংশে বিপদ সীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি বইছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় যমুনা নদীর কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পয়েন্ট, গোপালপুর উপজেলার ললিন পয়েন্টেও বিপদ সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ অংশের পানি আরো বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভূঞাপুরে যমুনার পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার ফকিরপাড়া, চর বেতুয়া, চর বামন হাটা ও চর কুতুবপুর গ্রামে যমুনার পানি প্রবেশ করেছে। এতে শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে, পানি বাড়তে থাকায় উপজেলার গাবসারা, গোবিন্দাসী ও অর্জুনা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। তবে ভাঙনরোধে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেয়নি টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড। বৃষ্টি হওয়ায় ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। পানি বৃদ্ধি পেলে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম জানান, যমুনার পানি একদিকে যেমন বাড়ছে, অন্যদিকে ভাঙন শুরু হয়েছে। পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে ইতোমধ্যে কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। উপজেলা পরিষদ থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ জানান, উজান থেকে নেমে আসা ঢলে এবং কয়েকদিনের বৃষ্টিতে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে যমুনা নদীর প্রায় প্রতিটি প্রয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রায় সবগুলো পয়েন্টেই বিপদ সীমার কাছাকাছি। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে সবগুলোই পয়েন্টে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।
বন্যা কবলিত এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। কোনো জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে দ্রুত মেরামত করা হবে বলেও জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/১০জুলাই/আরকে/এলএ)