যৌথ প্রযোজনা মানে দুই দেশের দুইজন পরিচালক নয়: ফারুকী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ জুলাই ২০১৭, ১৫:৫০

বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তার বিভিন্ন সিনেমা দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও সুনাম অর্জন করে দেশের জন্য সম্মান বয়ে নিয়ে এসেছে। পেয়েছে অনেক আর্ন্তজাতিক চলচ্চিত্র পুরস্কার। তার সর্বশেষ ছবি ডুবও পাশের দেশের একজন অভিনেতা যৌথ প্রযোজনা করেছে। সম্প্রতি তথ্য মন্ত্রনালয় থেকে দেশের চলমান যৌথ প্রযোজনার নিয়ম নীতির জন্য নুতন কমিটি তৈরির ঘোষণা দেয়া ও যৌথ প্রযোজনা বন্ধ ঘোষণা করায় এসব নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করলেন ফারুকী।

গতকাল রবিবার তার ফেসবুক ওয়ালে ফারুকী যৌথ প্রযোজনা বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন যৌথ পযোজনা মানে দুই দেশের পক্ষ থেকে দুইজন পরিচালক থাকা নয়। দুই দেশের কলাকুশলী বা অভিনেতা অভিনেত্রী নিয়ে ভারসাম্য বজায় রাখা। যদিও জটিলতার কারণে তার নিজের ছবিও আটকে রয়েছে। দেশে মুক্তি দিতে পারছেন না তিনি।

নিচে তার স্ট্যাটসটি হুবহু তুলে ধরা হলো।

‘তথ্য মন্ত্রনালয়কে ধন্যবাদ ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নীতিমালা মূল্যায়ন ও সংশোধন সুপারিশে নতুন কমিটি তৈরি করার জন্য। এবং আরো ধন্যবাদ জানাই এই কাজের জন্য যোগ্য ব্যক্তিটিকে কমিটির প্রধান করায়। হারুন ভাইয়ের জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা আমাদেরকে একটা সময়োপযোগী নীতিমালা দিবে, এই বিষয়ে আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে।

পরে কখনো হারুন ভাইয়ের সঙ্গে কথা হলে বিস্তারিত বলবো।

তবে এই ফাঁকে কয়টা কথা বলে রাখি। কয় সপ্তাহ আগে যখন কোলকাতায় গেলাম তখন বেশ কিছু পত্রিকায় দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিতে হয়েছিলো। সেখানে এই কথাগুলো বলেছি। বাংলাদেশ আর ভারতের মধ্যে সত্যিকার যৌথ প্রযোজনা দুই দেশের জন্যই লাভজনক হবে যদি দুই দেশের অংশগ্রহনে ভারসাম্য থাকে।

এখন সেই ভারসাম্য মানে কিন্তু এক ছবিতে দুই দেশের দুই পরিচালক থাকা না। দয়া করে এই অদ্ভুত বাধ্যতামূলক ব্যাপার পরিহার করেন। এর কারনেই এই দেশের প্রযোজকের নাম পরিচালক হিসাবে দেখা যায়।

বরং নীতিমালায় এমন ফিল্টার তৈরি করেন যাতে এটা নিশ্চিত করা যায় যে, বছরে দশটা যৌথ প্রযোজনার ছবি হলে ন্যুনতম পাঁচটার গল্প, পরিচালক, এবং লোকেশন যেনো এই দেশের হয়। শিল্পীদের ক্ষেত্রেও ভারসাম্য আনেন।

এতে যেটা হবে, ঢাকা বা কোলকাতা কোথাও অসন্তোষ তৈরি হবে না। কেউ ভাববে না, আমাদেরকে কেবল ভোক্তা বানানো হচ্ছে। তখনই কেবল এটা কাজে আসবে। নাহলে এটা দীর্ঘমেয়াদে ফলপ্রসূ হবে না এবং এমনকি এটার জন্য অনাকাংখিত রাজনৈতিক মূল্য দিতে হবে।

আর এই সাফটা চুক্তির আওতায় ছবি বিনিময় জিনিসটা পুরোপুরি নিরুৎসাহিত করা উচিত। এটা অনিয়ম এবং ফাঁকিবাজির সুযোগ তৈরি করে এবং আখেরে যা দুই দেশের সম্পর্কে বাজে চাপ ফেলবে। এটাকে নিরুৎসাহিত করে যৌথ প্রযোজনাকে উৎসাহিত করেন।

আরেকটা কথা, এখন যৌথ প্রযোজনার ছবিকে দুইবার নিরীক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। একটা কমিটি স্ক্রিপ্ট পড়ে অনুমোদন দেয়। তারপর ছবি তৈরি হলে সেই কমিটি ছবি দেখে অনুমোদন দেয়। তারপর সেটা আবার সেন্সর বোর্ড দেখে।

এক মুরগী বারবার জবাই করার এই ক্লান্তিকর পদ্ধতি বাদ দিয়ে সহজ এবং যথাযথ পরীক্ষণের পদ্ধতি বের করুন, দয়া করে। আপনাদের স্বাগত। সবাই আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে যাতে নিয়ম-নীতির মধ্যে সুন্দরভাবে ছবিগুলো তৈরি হয়।’

ঢাকাটাইমস/১০জুলাই/এমইউ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :